নির্বাচন ঘিরে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা সাতক্ষীরার নারীরা। দুইটি আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন চারজন নারী। রাজনীতিতে সক্রিয় হলে নারীর ক্ষমতায়ন আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মিছিল-মিটিংসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় সাতক্ষীরার নারীরা। সংরক্ষিত নারী আসনে জেলার দুইজন জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। আর এবার প্রত্যক্ষভোটে মনোনয়নপ্রত্যাশী চারজন।
সাতক্ষীরা-১ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি ও কলারোয়ার মনোয়ারা ফারুক। আর সাতক্ষীরা-৪ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদা খানম মৃধা ও কালিগঞ্জের রোজিনা কান্টু।
যেকোনও সময়ের চেয়ে এবার নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো বলে মনে করেন, সাতক্ষীরার নারীরা।
মনোনয়নপ্রত্যাশী লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, ‘অতীতে কখনও কোনও সংসদ নির্বাচনে আমরা নারী প্রার্থীকে সরাসরি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে দেখিনি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমরা তালা, কলারোয়া উপজেলায় দেখছি দুইজন নারী প্রার্থী।’
সাতক্ষীরার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্ত বলেন, ‘সাতক্ষীরার দুটি আসনে যে নারীরা নির্বাচন করছে এতে বোঝা যায় যে সাতক্ষীরা জেলায় নারীরা রাজনীতিতে একধাপ এগিয়ে গেছে।’
রাজনীতিতে নারীর সক্রিয় ভূমিকাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন এই অঞ্চলের নেতারা। সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনিসুর রহিম বলেন, ‘দুইজন নারী নেত্রী যে এগিয়ে এসে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি তাদেরকে মনোনয়ন দেন তাহলে সাতক্ষীরায় একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এটি আসলে নারী নেতৃত্বের একটি বিকাশ এবং ভবিষ্যতে এ নেতৃত্ব আরও সুন্দর হবে সেটি আমরা বিশ্বাস করি। কারণ নারীদের সব ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এখন অত্যন্ত জরুরী।’