সিলেটে বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাটসহ দুর্গম জনপদে বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে পুলিশ। যেখানে এখনো কেউ ত্রাণ নিয়ে পৌঁছাতে পারেনি সেসব এলাকায় ছুটে যাচ্ছে জেলা পুলিশের স্পিডবোট। রাত-বিরাতে কাউকে উদ্ধার কিংবা অভুক্ত পরিবারে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে জরুরি ত্রাণসামগ্রী।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে নৌপথে ২০ কিলোমিটার দূরের রানিখাইল ইউনিয়ন। মেঘালয় সীমান্তের কাছে এই জনপদটিতে পৌঁছানো যতোটা চ্যালেঞ্জের, সেখানকার বানভাসি মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা ঠিক যেন ততটাই অধরা! ত্রাণবোঝাই নৌকা দেখে তাই পড়িমরি করে ছুটে আসছে সবাই। রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি বা মোমবাতি পেয়ে যেনো অবসান অনেকদিনের অপেক্ষার।
বন্যায় সিলেটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের একেবারে দুর্গম কিছু এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা পুলিশের বেশ কিছু টিম।পাশাপাশি জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে বানভাসি মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের।
সিলেটে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষকে উদ্ধার, চিকিৎসা ও ত্রাণ তৎপরতায় কাজ করছে সেনা, বিমান, নৌ বাহিনী, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা।