চামড়া ব্যবসায়ীর ছেলে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন চুরি। দিনভর মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে রেকি করে মধ্যরাতে নামেন অপারেশনে। বিশ মিনিটেই চুরি শেষে, চম্পট মারেন সহযোগীর বাইকে। দুজনকে গ্রেপ্তারের পর দশ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মধ্যরাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসায় অপারেশন শুরু। নিঃশব্দে গ্রিল বেয়ে টার্গেট বাসায় উঠে যাচ্ছে চোর।
চুরি শেষে মালামাল নিয়ে নেমে আসে একজন। পরে, তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায় আরেকজন।
সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে একজন হাসান। তার বাবা চামড়া ব্যবসায়ী হলেও চুরিকেই পেশা হিসেবে নিয়েছে সে। উদ্ধার হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগ (লালবাগ) উপ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে তারা চামড়া ব্যবসায়ী। কিন্তু সে অনেকগুলো চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে ঢাকা মহানগরী এলাকায়। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে আটটা চুরির প্রমাণ আমরা পেয়েছি। পাইপ বেয়ে চার থেকে দশ তলা পর্যন্ত উঠে যেতে পারে সে।’
পুলিশ বলছে, হাসান চোর চক্রের হোতা। কিছুদিন পরপর সহযোগী বদল করে সে। বর্তমান সহযোগী আয়নাল উবারের মোটরসাইকেল চালক।
উপ কমিশনার আর বলেন, ‘ওর সহযোগী একজন উবার চালক। ওরা দুইজনে মিলে রাতের অন্ধকারে এবং দিনের বেলায় উবার মোটরসাইকেল করে ওলিগলি ঘুরে বেড়ায়। কোন বাসায় চুরি করবে তার চারপাশ রেকি করে থাকে।’
চুরি এড়াতে বাসার নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সিসিক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ পুলিশের।