প্রচার-প্রচারণার শেষ মুহূর্তে নারায়ণগঞ্জের অলিগলি চষে বেড়িয়েছেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে পথসভা ও মিছিল করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর অনুসারীদের নিয়ে ভোট চেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দুজনেই নির্বাচনি পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন।
সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শেষ মুহূর্তে যতটা পেরেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর ২ নম্বর রেলগেটের নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতারা। নারায়ণগঞ্জ যেন সন্ত্রাসের নগরীতে পরিণত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন তারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস করতে দেয়া হবেন।
আর নৌকার প্রার্থী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারও ভোট চেয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ তাকে আবারো নির্বাচিত করবে।
এদিকে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ঘুরেছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে, করেছেন ভোট প্রার্থনা। অভিযোগ করেছেন, সরকার দলীয় প্রার্থী মেহমানদের নিয়ে শোডাউন করেছে। বলেছেন, প্রশাসনের ভূমিকা নিরেপেক্ষ নয়।
অন্যদিকে শুক্রবার সকালে আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন ডা. আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমুর। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেছেন, একটি পক্ষ থেকে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর দাবি, নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সেলিনা হায়াৎ আইভী অভিযোগ করেন, বিভিন্ন পক্ষ তাকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র করছে।
অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার অভিযোগ করেন, তার সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
১৬ই জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।