অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৬ই ডিসেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এস. এম. এ. ফায়েজ গ্র্যাজুয়েটদের হাতে সনদ তুলে দেন। এবারের সমাবর্তনে মোট ২ হাজার ৩২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ২৭ জন শিক্ষার্থীকে বিশেষ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়, যার মধ্যে ৬ জন চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড, ৫ জন বিওটি চেয়ারম্যানস অ্যাওয়ার্ড এবং ১৬ জন ভাইস চ্যান্সেলরস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তোমরাই নতুন বাংলাদেশের কারিগর। জুলাই আন্দোলনে তোমাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো জ্ঞান ও উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করা এবং এ প্রচেষ্টায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। তিনি সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই ডিগ্রি অর্জন শেষ নয়, বরং শুরু। আপনারা আজ থেকে এমন এক বিশ্বে পা রাখছেন যা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি এবং দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তিনি সাফল্য অর্জনে অব্যাহত প্রচেষ্টা, পরিশ্রম, সহনশীলতা ও পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন একাদশ শতকের মহান বাঙালি পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্করের নাম ও কর্মের যথাযথ প্রতিফলন ঘটিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ভবিষ্যতের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান। তিনি একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম কারিকুলামের ওপর জোর দেন।
অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলম লিটন তার বক্তব্যে দেশে ৪০ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকারের বাস্তবতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি জানান, গুণগত শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষ দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব যোগ্যতা ও ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অভিভাবক, শিক্ষাবিদ, লেখক, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ লেজার শো অনুষ্ঠিত হয়।
ডিবিসি/আরএসএল