আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের তিনতলা ভবন দখলে নিয়ে নিজেদের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দলীয় কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (১০ই মে) দুপুরে চরফ্যাশন পৌর সদরের কলেজ রোডে অবস্থিত ভবনটি দখল করে এনপিপির নেতাকর্মীরা দলীয় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কার্যক্রম শুরু করলে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ভবনের ছাদে মাইক লাগিয়ে চালানো হচ্ছে এনসিপির প্রচার প্রচারণা।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ জানায়, সরকার পতনের পর চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের সময় চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই এনসিপির নেতৃবৃন্দ অনেকটা পরিত্যক্ত আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি দখল করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের ছাদে মাইক স্থাপন করে এনসিপির প্রচার চালানো হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচির প্রস্তুতি সভাও হয়েছে সেখানে।
স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার কোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখল করে কার্যক্রম শুরু করেছে। এটি দুঃখজনক ও ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
এবিষয়ে এনসিপির চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি দাবীদার অহিদ ফয়সাল জানান, এনসিপির দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চরফ্যাশন উপজেলার এনসিপির নেতা আমজাদ হাবিব, নুরে আলম নাসিম, শরিফ হোসাইন ও মো. শাহাবুদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নিয়েছেন। এখন থেকে চরফ্যাশনে এনসিপির দলীয় সকল কার্যক্রম এখান থেকেই পরিচালিত হবে বলেও জানান তারা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান হাওলাদার কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
তবে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এনসিপির সাইনবোর্ড ঝুলানোর খবরটি শুনেছি। সেই কার্যালয় সরকারি সম্পত্তি কিনা আমি নিশ্চিত না। তবে সেটাও যাচাই করতে দু-তিন দিন সময় লাগবে।
ডিবিসি/ এইচএপি