হেমন্তের শেষে কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে শীত নেমেছে বরিশালে, আর সেই সাথে বাতাসে ভাসছে নতুন ধানে তৈরি পিঠাপুলির মিষ্টি ঘ্রাণ। জীবনানন্দের এই জনপদে নবান্ন উৎসবকে ঘিরে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই এখন সাজ সাজ রব। নতুন ফসলের আগমনে বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দের ঢেউ লেগেছে।
চাল দিয়ে তৈরি চিতই, দুধচিতইসহ বাহারি সব পিঠার আয়োজনে ব্যস্ত ধানসিঁড়ি পাড়ের পিঠাপ্রেমীরা। এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও।
সেখানে কবিতা, গান আর নৃত্যের ছন্দে নবান্ন বরণ করে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আয়োজকরা বলছেন, এই উৎসব আবহমান বাংলার সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার এক শক্তিশালী মাধ্যম।
পদাতিক-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় রয় এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, শেকড়ের সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে এবং ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন রচয়িত করতে প্রতি শীতেই এই আয়োজন করা হয়। শীতের সন্ধ্যায় নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে পিঠার সুগন্ধ আর মানুষের কলকাকলিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে পুরো বরিশাল।
ডিবিসি/এএমটি