মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমা ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরলান্ডো হার্নান্দেজ। সোমবার ( ১লা ডিসেম্বর) পশ্চিম ভার্জিনিয়ার উচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত ‘ইউএসপি হ্যাজেলটন’ কারাগার থেকে তিনি ছাড়া পান।
গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে কোকেন পাচারের ষড়যন্ত্র ও অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে হার্নান্দেজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আদালত তাকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৮০ লাখ ডলার জরিমানা করেছিল। তবে গত শুক্রবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, হার্নান্দেজের সঙ্গে অত্যন্ত কঠোর ও অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। এরপরই তাকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মঙ্গলবার হার্নান্দেজের স্ত্রী আনা গার্সিয়া দে হার্নান্দেজ ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তার স্বামী এখন একজন স্বাধীন মানুষ।
২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত হন্ডুরাসের ক্ষমতায় ছিলেন ন্যাশনাল পার্টির এই নেতা। ক্ষমতা ছাড়ার পরপরই ২০২২ সালের এপ্রিলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হয়। নিউইয়র্কের আদালতে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেছিলেন, হার্নান্দেজ হন্ডুরাসকে একটি ‘মাদক-রাষ্ট্র’ হিসেবে পরিচালনা করেছেন এবং মাদক চোরাকারবারিদের কাছ থেকে মিলিয়ন ডলার ঘুষ নিয়ে তাদের সুরক্ষা দিয়েছেন।
রোববার ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প দাবি করেন, হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে তদন্ত ছিল বাইডেন প্রশাসনের সাজানো নাটক। তিনি বলেন, “তারা মূলত বলেছে তিনি মাদক ব্যবসায়ী, কারণ তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।”
হার্নান্দেজের এই মুক্তি এমন এক সময়ে ঘটল যখন হন্ডুরাসে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ডানপন্থী প্রার্থী নাস্রি আসফুরা ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্যপন্থী দলের প্রার্থী সালভাদর নাসরালার মধ্যে ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র ৫১৫।
ট্রাম্প নির্বাচনের এই সমীকরণেও মন্তব্য করেছেন। তিনি নাসরালাকে ‘কমিউনিস্ট ঘরানার’ বলে সমালোচনা করেছেন, অন্যদিকে আসফুরাকে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানো ব্যক্তি হিসেবে প্রশংসা করেছেন। যদিও নাসরালা ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে তিনি ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট সিওমারা কাস্ত্রোর নেতৃত্বে হন্ডুরাস কিউবা ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে।
সূত্র: বিবিসি
ডিবিসি/পিআরএএন