দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, তা এক প্রকার প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ। ট্রাম্পের চাপের মুখে হারজোগ স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং দেশটির বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন।
শনিবার (৬ই ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম ‘পলিটিকো’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হারজোগ এ বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে, নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে ক্ষমার একটি আবেদন তার দপ্তরে পৌঁছেছে। তবে এটি রাজনৈতিক কোনো বিবেচনায় নয়, বরং বিচার মন্ত্রণালয় এবং আইনি উপদেষ্টাদের মাধ্যমে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
হারজোগ বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ অনুরোধ। তবে এটি নিয়ে কাজ করার সময় আমি সবার আগে ইসরায়েলের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থ কী, তা বিবেচনা করব।’
ট্রাম্পের চাপের বিষয়ে হারজোগ বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বন্ধুত্ব ও মতামতকে তিনি মূল্যায়ন করেন। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করে। তার কথায়, ‘ইসরায়েল স্বাভাবিকভাবেই একটি সার্বভৌম দেশ এবং আমরা ইসরায়েলি আইনি ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখি।’
ক্ষমার আবেদন নাকচ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে হারজোগ জানান, দুই দেশের সম্পর্ক এবং ট্রাম্পের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ‘উষ্ণই’ থাকবে। তিনি বিষয়টিকে সঠিক প্রেক্ষাপটে দেখার আহ্বান জানান এবং এ নিয়ে অহেতুক ‘ভীতিকর বিশ্লেষণ’ থেকে সতর্ক করেন।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা পেতে হলে কোনো আসামীকে অবশ্যই নিজের দোষ স্বীকার করতে হয়। কিন্তু বিচার শুরুর পর থেকে নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এছাড়া গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
ডিবিসি/এনএসএফ