দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিশ্বকাপের নক আউটে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয় নেই। তবে সেই ধারা ভাঙার দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিল ব্রাজিল।
তবে অদম্য ক্রোয়েশিয়া বাধ সাধল। যার ফলে অতিরিক্ত সময়ের নাটকীয়তায় সেলেসাওদের প্রায় নিশ্চিত জয় রূপ নিয়েছে পেনাল্টির লড়াইয়ে।
কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার লড়াইয়ে ১২০ মিনিটের খেলা ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়েছে।
দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিশ্বকাপের নক আউটে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে জয় নেই। তবে সেই ধারা ভাঙার দ্বারপ্রান্তেই পৌঁছে গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে অদম্য ক্রোয়েশিয়া বাধ সাধল। তাই অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিলের প্রায় নিশ্চিত জয় রূপ নিয়েছে পেনাল্টির লড়াইয়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে লক্ষ্যভেদ করে ব্রাজিল শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন নেইমার। এরপর ১১৭ মিনিটে গোল করে অবিশ্বাস্যভাবে ক্রোয়াটদের ম্যাচে ফেরান ব্রুনো পেটকোভিচ।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। তবে মাঠের খেলায় সেলেসাওদের সঙ্গে সমানতালে লড়াই করেছে ক্রোয়াটরা। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে নেইমারের গোলে এগিয়ে ব্রাজিল।
ম্যাচের ৪৪ শতাংশ সময় বলের দখলে রেখে ব্রাজিলের গোলমুখে নয়বার শট নেয় ক্রোয়েশিয়া। যার মাঝে ১১৭ মিনিটের গোল হওয়া শটটিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ব্রাজিলের কাছে বলের দখল ছিল ৪১ শতাংশ সময়। নেইমার-ভিনিসিয়ুসরা ১৯টি শট নেয়, যার মাঝে এগারোটি লক্ষ্যে ছিল।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোলের জন্য প্রথম আক্রমণ করেন ব্রাজিলের ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছয় মিনিট পর গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন ক্রোয়েশিয়ার জুরানোভিচ। এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা।
অনবদ্য দক্ষতায় ক্রোয়াট ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে দেয়াল হয়ে থাকা লিভানকোভিচকে বোকা বানিয়ে কঠিন কোণ থেকে বল জালে পাঠান নেইমার। সেই সঙ্গে পুরো গ্যালারি গর্জে ওঠে সাম্বার তালে।
নেইমারের এই গোলের পর জয় থেকে মাত্র ৩ মিনিট দূরে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু এখানে যেন অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন বিধাতা। আর তাই যেন আচমকা আক্রমণে ব্রাজিলকে স্তব্ধ করে দেন ব্রুনো। তার গোলে যেন আরেকবার লড়াই করার লাইফলাইন পায় ক্রোয়াটরা।