মেট্রোরেলে বিয়ারিং প্যাড সংক্রান্ত সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের যাতায়াত কিছুটা কমেছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৪ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন, বর্তমানে সেই সংখ্যা কমে ৪ লাখের কাছাকাছি চলে এসেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রায় ১০ শতাংশ যাত্রী কমেছে।
সোমবার (১লা ডিসেম্বর) দুপুরে উত্তরায় ডিএমটিসিএলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
গত ২১শে নভেম্বর অনুভূত ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মেট্রো রেলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়েও কথা বলেন তিনি। এমডি নিশ্চিত করেন, ভূমিকম্পে মেট্রো রেলের বড় কোনো ফিজিক্যাল বা কাঠামোগত ক্ষতি হয়নি। কেবল দুটি টাইলস খসে পড়েছে, তবে কোথাও কোনো ফাটল দেখা যায়নি। তিনি আরও জানান, ভূমিকম্পের দিন যাত্রীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত একটির বদলে দুটি সুইপার ট্রেন চালিয়ে লাইন পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার কারণে সেদিন ট্রেন চলাচলে কিছুটা বিলম্ব হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে রবিবার (৩০শে নভেম্বর) রাতে এক কিশোরের মেট্রো রেলের দুই কোচের মাঝখানে চড়ে বসার বিষয়টিও উঠে আসে। তিনি জানান, ওই কিশোর কারওয়ান বাজার থেকে আগারগাঁও এবং সেখান থেকে দুই কোচের মাঝখানে বসে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সচিবালয় স্টেশনে পৌঁছায়। বিষয়টি নজরে আসামাত্রই নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে আনেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে রাতেই প্রতিটি ট্র্যাকে তল্লাশি চালানো হয় এবং আজ সকালেও সুইপার ট্রেন দিয়ে পুনরায় চেক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। এখন থেকে স্টেশনগুলোর নিচের প্রবেশপথে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বলেও জানান তিনি।
ডিবিসি/এফএইচআর