কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার লড়াইয়ে ১২০ মিনিটের খেলা ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়। এরপর পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া।
টানা দুটি ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে নাম লিখলো ক্রোয়েশিয়া। ব্রাজিলের হয়ে টাইব্রেকারে শট মিস করেন রদ্রিগো এবং মার্কুইনহোস।
আবারও ইউরোপিয়ান দলের সামনে এসে থমকে দাঁড়াতে হলো ব্রাজিলকে। ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে শুরু, এ নিয়ে পঞ্চমবার নকআউটে এসে ইউরোপিয়ান দলের কাছে হারতে হলো লাতিন আমেরিকান পাওয়ার হাউজ ব্রাজিলকে। এর মধ্যে চারবারই কোয়ার্টার ফাইনালে।
এর আগে অতিরিক্ত সময়ে এসে ম্যাচের ১০৫তম মিনিটে ব্রাজিল গোল পেলেও কাজে লাগাতে পারেন নি। লিড ধরে রাখতে না পারায় ম্যাচের ১১৬ মিনিটে মিস্লাভ ওরসিকের পাস থেকে বল পেয়ে ব্রুনো পেটকোভিকের দুর্দান্ত এক শট জড়িয়ে যায় ব্রাজিলের জালে।
যার ফলে অতিরিক্ত সময়ের নাটকীয়তায় সেলেসাওদের প্রায় নিশ্চিত জয় রূপ নিয়েছে পেনাল্টির লড়াইয়ে। আর সেখানে শেষ হাসি ক্রোয়াটদেরই। যার মাধ্যমে ইউরোপিয়ানদের বিপক্ষে নক আউটে পরাজয়ের ধারা থেকে বেরোতে পারল না ব্রাজিল।
৮০ তম মিনিটে রদ্রিগোর পাস থেকে বল পেয়ে লুকাস পাকুয়েতা বাম পায়ের দারুণ এক কিক নিয়েছিলেন। কিন্তু আবারও গোলরক্ষক বাঁচিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়াকে।
৮২তম মিনিটে রদ্রিাগোর কাছ থেকে বল পেয়ে রিচার্লিসন হেড করেন। কিন্তু বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ৮৬তম মিনিটেও দারুণ এক সুযোগ নষ্ট হয় ব্রাজিলের। কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করে ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার।
১০২ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ব্রোজোভিচের শটটি পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
১০৫ মিনিটে নেইমারের গোল মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে ওয়ান-টু করে এগিয়ে যান। শেষ টাচটা দেন লুকাস পাকুয়েতা। সর্বশেষ গোলরক্ষ লিভাকোভিককে কাটিয়ে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন নেইমার।