ম্যাচের ১১৬ মিনিটে ওই গোল শোধ করে দিল ক্রোয়েশিয়া। এর আগে নেইমারের দুর্দান্ত গোলে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ১-০ গোলের লিড নেয় ব্রাজিল। ১০৫ মিনিটে গোল করেন তিনি। এখন ম্যাচ ১-১ গোলে সমতায়।
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হয়েছে। জিতলে সেমিফাইনাল হারলে বিদায় ল্যাতিন ও ইউরোপের এমন মহারণে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোল করতে পারেনি কোন দল।
ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে প্রায় সমান পজিশন নিয়ে খেলেছে। ব্রাজিল গোলের লক্ষ্যে সাতটি শট নিলেও তা ক্রোয়াট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেনি। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া গোলে শট নিতে না পারলেও চারটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল। যা থেকে একটি গোল হওয়ার ভালো সুযোগ ছিল।
কঠিন সমীকরণের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছে। গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া।
শুক্রবার কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়ার কৌশলে এবং নিজেদের ব্যর্থতায় ব্রাজিল। ৯০ মিনিটের খেলা গোলশূন্য ড্র। খেলা গড়াল অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ে গোল না হলে পেনাল্টিশুটাউট হবে।
অতিরিক্ত সময়ে বাজিমাত করলো নেইমার। ১০৫ মিনিটে অবশেষে অপ্রতিরোধ্য ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন তিনি।
প্রথমোর্ধে দুই দলই খেলেছে সমান সমান। বল দখলের লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়া কোনো অংশেই কম ছিল না ব্রাজিলের চেয়ে। বল দখলের লড়াইয়ে দু’দলই ছিল সমান ৫০ ভাগ করে। ব্রাজিল পাস দিয়েছে ২৭৯টি। ক্রোয়েশিয়া দিয়েছে ২৬৭টি। গোলমুখে ব্রাজিল শট নিয়েছে ৫টি। ক্রোয়েশিয়া নিয়েছে ৩টি।
১০০তম মিনিটে থিয়াগো সিলভার ক্রস থেকে বাইসাইকেল কিক দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন অ্যান্টোনি। কিন্তু শটটাও ঠিক হয়নি। তবুও গোলে বল গিয়েছিলো। কিন্তু গোলরক্ষক লিভাকোভিচের হাতে বল।
১০২ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলো ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ব্রোজোভিচের শটটি পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
১০৫ মিনিটে নেইমারের গোল মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে ওয়ান-টু করে এগিয়ে যান। শেষ টাচটা দেন লুকাস পাকুয়েতা। সর্বশেষ গোলরক্ষ লিভাকোভিককে কাটিয়ে ক্রোয়েশিয়ার জালে বল জড়িয়ে দেন নেইমার।