১০ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ। গাজা থেকে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য তাকে নেওয়া হয়েছে ইতালিতে। সঙ্গে আছেন মা ও ছোট বোন। কিন্তু বাবা ও দুই ভাই এখনো যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায়। এখন একটি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনই পারে তাদের পুরো পরিবারকে আবার এক করতে।
লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত আব্দুল্লাহ বর্তমানে ইতালির পাদোভা শহরে চিকিৎসাধীন। গত ১৪ মে মেডিকেল ইভাকুয়েশনের মাধ্যমে আব্দুল্লাহ, তার মা ইমান এবং এক বছর বয়সী ছোট বোন কামারকে ইতালিতে নিয়ে আসা হয়। তবে তার বাবা আহমেদ এবং দুই ভাই মোহাম্মদ (১১) ও মাহমুদ (৮) গাজাতেই আটকা পড়ে আছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আব্দুল্লাহর জীবন বাঁচাতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রয়োজন। নভেম্বরের শুরুতে গাজা থেকে আব্দুল্লাহর ভাইদের রক্তের নমুনা ইতালিতে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখছেন তাদের বোন ম্যারো আব্দুল্লাহর সাথে ম্যাচ করে কিনা।
যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে এবং ভাইদের কারো সাথে ম্যাচ করে, তবে চিকিৎসার দাতা হিসেবে তাদের ইতালিতে নিয়ে আসার অনুমতি মিলবে। এতে একদিকে আব্দুল্লাহর জীবন বাঁচবে, অন্যদিকে যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাবে তার বাকি পরিবার। আর যদি ম্যাচ না করে, তবে পারিবারিক পুনর্মিলনের জন্য তাদের দীর্ঘ ও জটিল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
আব্দুল্লাহর মা ইমান বলেন, ‘আমি প্রতিদিন তাদের নিরাপত্তার জন্য ভয়ে থাকি। আব্দুল্লাহ তার ভাইদের মিস করে, আমিও আমার সন্তানদের ভীষণ মিস করি।’
উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি শিশুকে চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো হাজার হাজার রোগী বিদেশে চিকিৎসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন।
সূত্র: আল জাজিরা
ডিবিসি/এনএসএফ