ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শুক্রবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজে সম্মত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য রাশিয়ার জ্বালানি ও আর্থিক খাতে আরও জোরালোভাবে আঘাত হানা এবং যুদ্ধের রসদ জোগানোর ক্ষমতা কমিয়ে দেয়া।
ইইউ কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, এই নতুন নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর একটি 'চলমান মূল্যসীমা' নির্ধারণ করা। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাশিয়ার তেল তার গড় বাজার মূল্যের চেয়ে ১৫ শতাংশ কমে বিক্রি করতে হবে। এই পদক্ষেপটি মূলত জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর আরোপিত ব্যারেল প্রতি ৬0 ডলারের স্থির মূল্যসীমার একটি উন্নত সংস্করণ, যা ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে প্রয়োগের চেষ্টা করা হলেও তেমন কার্যকর প্রমাণিত হয়নি।
পূর্বের ৬0 ডলারের মূল্যসীমাটি অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছিল কারণ বিশ্ববাজারে তেলের দাম যখন অনেক বেড়ে গিয়েছিল, তখনো এই সীমাটি একই ছিল। ফলে রাশিয়া বিভিন্ন উপায়ে, বিশেষ করে নিজস্ব ট্যাংকার বহর ব্যবহার করে এশিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের দেশগুলোতে বাজার মূল্যের কাছাকাছি দামে তেল বিক্রি করে বিপুল মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছিল।
নতুন এই 'চলমান মূল্যসীমা' পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়া-কমার সাথে তাল মিলিয়ে রাশিয়ার জন্য সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্যও পরিবর্তিত হবে, যা তাদের মুনাফাকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেঁধে রাখবে। ইইউ আশা করছে, এর মাধ্যমে রাশিয়ার আয় কমবে, কিন্তু বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহও ঠিক থাকবে, যাতে জ্বালানির দাম অস্থিতিশীল না হয়।
তবে এই নতুন নিয়ম কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা এবং এর প্রভাব কতটা হবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়ে গেছে। রাশিয়া এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে নতুন কোনো উপায় খুঁজে বের করবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ডিবিসি/জেআরওয়াই