প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। ইন্টারনেট থেকে শিখেছেন কাঠের ওপর নকশার কাজ। গড়ে তুলেছেন নিজের তৈরি প্রতিষ্ঠান। খরচ বাদে তার মাসিক আয় এখন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এলাকাবাসীর চোখে এখন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী ফরহাদ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়াগোলার তাহিরপুর এলাকার ফরহাদ আলম। জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। নানা কারণে নিতে পারেননি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও। তবে, পরিবার ও সমাজের বোঝা হতে চাননি। অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে ২০০২ সালে ভর্তি হন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সে। সেই কম্পিউটার শিক্ষায় পথ দেখায় ফরহাদকে।
ইন্টারনেট থেকে দেখে দেখে শিখে নেন কাঠের ওপর নানা নকশার কাজ। গড়ে তোলেন নিজের প্রতিষ্ঠান। এখন প্রতি মাসে খরচ বাদে তার আয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
আশ্রয় ডিজিটাল উড ডিজাইনের স্বত্বাধিকারী ফরহাদ আলম বলেন, 'ইউটিউবের ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো পাওয়ার পর সেখান তেকে ডিজাইনগুলো শিখি আমি। এখানে ৪-৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এটাই আমার প্রশান্তি যে প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও আমি সমাজের বোঝা হয়ে নেই।'
ফরহাদ আলমের বাবা জহুরুল ইসলাম জানান, 'ওকে স্কুলেও দিতে পারিনি, চিন্তা হতো অনেক। এখন এ কাজ করে সে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছে। সেটাই চেয়েছি যেন সে সমাজ ও পরিবারের বোঝা না হয়।'
কারখানাটিতে বর্তমানে স্থায়ীভাবে পাঁচজন কর্মচারী ছাড়াও অস্থায়ীভাবে কাজ করেন ৬ থেকে ৭ জন। ফরহাদের এই কাজে খুশি এলাকাবাসী। সবার চোখে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি।