আমের সোনালী মুকুলে ভরে গেছে পার্বত্য জেলার আম বাগানগুলো। বাম্পার ফলনের আশা করছেন বান্দরবানের আম চাষিরা। তবে, অনাবৃষ্টিতে ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছেন খাগড়াছড়ির চাষিরা।
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের আম বাগানগুলোর আশপাশে এখন মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ। ফারুক পাড়া, লাইমিপাড়া, গেৎসামনি পাড়াসহ চিম্বুক রোড সবখানেই মিলছে একই দৃশ্য। মুকুলের এমন সমারোহে বাম্পার ফলনের আশায় বুক বাঁধছেন চাষিরা। গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এক কৃষক বলেন, 'প্রতি বছর এই বাগান থেকে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ মণ আম পাই। এ বছরও খুব ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।'
এ বছর জেলায় আমের আবাদ হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। মুকুল ধরে রাখতে পারলে ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগও। বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, 'গাছগুলোতে যে পরিমাণ মুকুল এসেছে তার যদি আমরা ভালোমতো পরিচর্যা করতে পারি তাহলে এবারও ভালো ফলন পাবো বলে আশাবাদী।'
এদিকে, আরেক পার্বত্য জেলা খাগড়ছড়িতে আম গাছে মুকুল এলেও বৃষ্টি কম হওয়ায় শঙ্কায় চাষিরা। স্থানীয় পাহাড়ি জাতের পাশাপাশি আম্রপালি ও বারি-৮, কিউজাই, ব্যানানা ম্যাংগো জাতের আমের চাষ হচ্ছে এবার।
এক আম চাষি বলেন, 'রূপালি গাছে মুকুল আসলেও সে পরিমাণ ফলন আমরা পাবো বলে মনে হয় না। বৃষ্টি না থাকায় আশঙ্কা আরো বেড়ে গেছে।'
চাষিদের নানা পর্যায়ে পরামশের্র পাশাপাশি নানারকমের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মর্ত্তুজ আলী বলেন, 'যে লক্ষ্যমাত্রা এ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যথাযথ বৃষ্টিপাত হলে তা পূরণ হবে বলে আশাবাদী।'
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে খাগড়াছড়িতে এবার ৩ হাজার ৩শ' হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ হাজার মেট্রিক টন।