'অমৃতাই আমাকে শেখায় কী ভাবে কাজ, ব্যবসা সব কিছু গুরুত্ব দিয়ে করতে হয়। অমৃতা আমায় বোঝায় আমি যদি জীবনের ব্যাপারে সিরিয়াস না হই তাহলে কখনই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।'
প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা সিংহের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাইফ আলি খান। অমৃতার থেকেই নাকি তিনি শিখেছেন কী ভাবে কাজের গুরুত্ব দিতে হয়, সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। সম্প্রতি এক দৈনিক পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমনটাই বলেন ছোট নবাব। আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়।
কারে সাইফ বলেন, 'তখন আমার বছর কুড়ি। অমৃতাকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকেই পালিয়ে যাই। বয়সটা নেহাতই কম। সুতরাং বুঝতেই পারছেন দায়িত্ব নেওয়ার মতো বোধ আমার তৈরি হয়নি। সে সময় অমৃতাই আমাকে শেখায় কী ভাবে কাজ, ব্যবসা সব কিছু গুরুত্ব দিয়ে করতে হয়। অমৃতা আমায় বোঝায় আমি যদি জীবনের ব্যাপারে সিরিয়াস না হই তাহলে কখনই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না।' সাইফ আরও যোগ করেন, জীবনের ওঠাপড়াতেও যে পাশে পেয়েছেন অমৃতাকে।
ওই সাক্ষাৎকারেই সইফ জানান, বাবা মনসুর আলি পতৌদির মৃত্যুর পর নাকি বিখ্যাত ‘পতৌদি প্যালেস’ বন্ধক রাখতে হয়েছিল নিমরানা হোটেলের কাছে। সে সময়টায় যেন ঝড় বয়ে গিয়েছিল পতৌদি পরিবারে। পরিবারের ঐতিহ্য ওই প্রাসাদ কোনও হোটেলের কাছে চলে যাবে, এ কথা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেননা সইফ। কিন্তু নিমরানার কাছ থেকে তা ফিরে পেতে দরকার ছিল অনেক টাকার।
সইফের কথায়, 'ওই প্রাসাদ অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তার মধ্যে অনেক টাকার ব্যাপার।' যাই হোক, বেশ চাপের মধ্যেই নিজেদের প্রাসাদ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন ছোটে নবাবের।
১৯৯১-এ বয়সে প্রায় দশ বছরের ছোট সাইফের সঙ্গে বিয়ে হয় অমৃতার। পাঁচ বছর পর তাদের প্রথম সন্তান সারার জন্ম হয়। ২০০১-এ আসে সইফ-অমৃতার দ্বিতীয় সন্তান ইব্রাহিম। বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর ২০০৪ সালে হঠাৎই বিচ্ছেদ হয়ে যায় ওই জুটির। এর পর অমৃতা আর বিয়ে না করলেও ২০১২ তে অভিনেত্রী করিনা কপূরকে বিয়ে করেন সাইফ আলি খান। ২০১৬ সালে সইফ-করিনার ছেলে তৈমুরের জন্ম হয়।