পবিত্র ঈদুল ফিতর আজ। রমজানে ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় আজ ঈদ উদযাপন করছেন।
মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদকে ঘিরে যে আনন্দ-উচ্ছাস থাকার কথা তা এবারো গত বছরের ন্যায় ম্লান করে দিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। অনিশ্চিয়তার মধ্যেই পালিত হচ্ছে এবারের ঈদ।
করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনায় এবার খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ঈদের জামাত হচ্ছে মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদ জামাতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকারি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত না করার পাশাপাশি বিনোদন কেন্দ্রে ঘোরাঘুরি না করে নিজ ঘরে ঈদ উদযাপন করতেও বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা ভাষণ দেন। ভাষণে ঈদ উদযাপন যেন করোনা ছড়ানোর উপলক্ষ্য না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, সব ভেদাভেদ ভুলে, ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে গত বুধবার (১২ মে) সন্ধ্যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের কোথাও পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে শুক্রবার উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। তিনি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের আহ্বান জানান।