বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা অমিত সাহাকে আটক করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সবুজবাগ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। অমিত সাহা বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক।
আবরার হত্যা মামলায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়, ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার হন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জন। বহিস্কার করা হয় ১১ জনকে। কমিটির সদস্যরা জানান, আবরারের বাবার দায়ের করা মামলায় ১৯ জনকে আসামী করা হলেও প্রাথমিক তদন্তে ১১ জনের বিরুদ্ধে সুষ্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে, আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অমিত সাহার নাম বার বার আলোচনার শীর্ষে এসেছে। অমিত সাহার কক্ষেই আবরারকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
বলা হয়ে আসছে, অমিত সাহার বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদকে হত্যার অভিযোগ থাকলেও মামলা থেকে বাদ দেয়া হয় তার নাম। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আবরারের বাবাও। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে অমিত সাহাকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
এ বিষয়ে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেছিলেন, 'ভিডিও ফুটেজ দেখে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, কেবল তাদের নামেই মামলা হয়েছে। এর পরও তদন্ত হবে। তদন্তে যদি অমিতের সংশ্নিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়, অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।'
রবিবার রাত ২টার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি ঘর থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই হলের শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবরারকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে যায়। পরে, রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার, সকাল ১০টায় কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় আবরারের গ্রামের বাড়িতে তৃতীয় ও শেষ জানাজা শেষ হবার পর পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।