জাতীয়, অর্থনীতি

আমদানি করা এলপিজি ত্রিপুরায় রপ্তানি হবে

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ৭ই অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৬:৪৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানি করবে ত্রিপুরায়। আমদানি করা এলপিজি দেশের চাহিদা পূরণ করে তারপর রপ্তানি করা হবে।

বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানি করবে ত্রিপুরায়। আমদানি করা এলপিজি দেশের চাহিদা পূরণ করে তারপর রপ্তানি করা হবে। এবার ভারত সফরে বিভিন্ন সমঝোতা চুক্তির পাশাপাশি এলপিজি রপ্তানি কার্যক্রমও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থনীতিবিদরাও এলপিজি রপ্তানিকে স্বাগত জানিয়েছেন।

৫ই অক্টোবর, নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি যৌথ প্রকল্পও উদ্বোধন করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধন হওয়া তিনটি প্রকল্পের একটি ত্রিপুরায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি রপ্তানি কার্যক্রম। এর আওতায় বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেক্মিমকো এবং ওমেরা নিয়মিতভাবে এলপিজি পাঠাবে ত্রিপুরায়। আমদানি করবে ইন্ডিয়ান ওয়েল করপোরেশন-আইওসি।

দেশে জ্বালানি ঘাটতি রেখে প্রতিবেশি দেশ ভারতে এলপিজি পাঠানো নিয়েই জনমনে এখন প্রশ্ন জাগছে।  তবে, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বলছে, এটি একেবারেই একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ। মংলা বন্দর দিয়ে আমদানির পর এই তরল গ্যাস পুনরায় রপ্তানি হবে।

ওমেরা এলপিজি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল হক জানান, 'প্রতি মাসে ছয় থেকে সাত টন করে তরল গ্যাস যাবে। এটা যাবে বিশালগড় প্লান্টে। ভবিস্যতে ওদের আরেকটি প্লান্ট হবে একটু বড় আকারে হবে। যেখানে প্রতি মাসে চাহিদা থাকবে তিন হাজার টন। দেশের ভেতরের চাহিদা পুরণের পরই আমরা বাকিটুকু রপ্তানি করবো। আমরা সম্পূর্ন বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে সেভাবেই সিদ্ধন্ত নিয়েছি। সঙ্কট তো দূরের কথা, মার্কেটে অতিরিক্ত সরবরাহ থাকবে।'

রপ্তানির এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে রপ্তানীর এলপিজিতে যেন কোনভাবেই ভর্তুকি না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করেন তারা। এ প্রসঙ্গে  পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড.আহসান এই মনসুর বলেন, 'পর্যাপ্ত পরিমাণ রপ্তানি করতে পারলেই কেবল এটা প্রযোজ্য হবে। আমাদের যেন কোন রকম সাবসিডি দেয়া না হয়।'

ওমেরা ও বেক্সিমকো ছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বোতলীকরণ ও ধারণ ক্ষমতা অভ্যন্তরীণ চাহিদার চেয়ে বেশি।  তাই পুর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার হলে দেশের বাজারেও এলপিজির দামের ক্ষেত্রে খানিকটা সুফল মিলবে। 

আরও পড়ুন