ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম। যশোরে ১৩ জনসহ আট জেলায় প্রাণ গেছে ২৫ জনের। অনেক জেলা এখনো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে যশোরে ১৩ জন নিহত ও অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া সাতক্ষীরায় তিন, ভোলায় দুই, পটুয়াখালীতে দুই, পিরোজপুর, ঝিনাইদহ, রংপুর ও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের একজন করে মারা গেছেন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে খুলনা জেলার উপকূলীয় এলাকায় ৮২ হাজার ৫৬০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। শুক্রবার (২২শে মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।
এছাড়া, বেশি ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী জেলায়। ভোলায় সরকারি হিসাবেই ৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৮ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রশাসন জানিয়েছে, ভোলায় ৩৩২টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ১ হাজার ৬শ’ ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বগুড়ায় নৌকাডুবে নিখোঁজ এক শিশুসহ দুইজন এখনো উদ্ধার হয়নি।