সিরি-আতে বোলোনিয়ার সঙ্গে ২-১ এ জিতে শীর্ষে উঠেছিলো ইন্টার, তবে তোরিনোর সঙ্গে ১-০ গোলে জিতে সেটা পুনরুদ্ধার করেছে য়্যুভেন্তাস।
হিসাবটা সোজা, জিতলে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য হলেও শীর্ষে উঠবে ইন্টার। বোলোনিয়ার বিপক্ষে সেই চাপটাই কি তবে পেয়ে বসলো মার্তিনেজ-লুকাকুদের? অ্যাটাকের মত ডিফেন্সেও ফাটল। ঘড়ির কাঁটা ঘন্টা ছুঁই ছুঁই, এসময় সোরিয়ানোর শট দিক বদলে আশ্রয় নিলো ইন্টারের জালে, লিডে বোলোনিয়া।
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইন্টার। কন্তের অল-অ্যাটাকিং চাল। লাউতারো মার্তিনেজের শট ঠেকালেও রিবাউন্ডে এক্কেবারে ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় হাজির লুকাকু। আগেরটার মতই পরেরটাতেও লাউতারোর অবদান। ইনজুরি টাইমে আর্জেন্টাইনের এনে দেয়া পেনাল্টি কাজে লাগিয়ে ইন্টারকে শীর্ষে ওঠান লুকাকু।
সেটা টেকেনি বেশিক্ষণ। তুরিন ডার্বিতে তোরিনোকে হারিয়ে কেড়ে নিয়েছে য়্যুভেন্তাস। তবে, জয়টা মোটেও সহজ ছিলনা য়্যুভের। ফার্স্ট হাফের দখল পুরোটা সময় নিজেদের কাছে রাখলেও গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ রোনালদো-দিবালারা।
বিরতির পরও একই ঘটনা। রোনালদো-হিগুয়াইনরা একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে। তবে, কোনরকমে সব ঠেকিয়ে গেছে তোরিনো। তবে, শেষরক্ষা হয়নি। সেটপিসে, ম্যাথিয়াস ডি লিটের ফিনিশিং টাচ। ডাচম্যানের প্রথম য়্যুভে গোলে, ইন্টারকে টপকে ১ পয়েন্টের লিডে টেবিলটপ য়্যুভেন্তাস।
অন্যদিকে, লা লিগায় বার্সেলোনার হারের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল-আতলেতিকোর কেউই। সেভিয়ার সাথে ১-১ ড্র করে আতলেতিকো আর বেতিসের সঙ্গে গোলশুন্য ড্রয়ে রিয়াল হারিয়েছে টেবিল টপার হবার সুযোগ।
বেতিসের সঙ্গে জিতলে, লা লিগার শীর্ষে উঠতো রিয়াল মাদ্রিদও। শুরুতেই এলো গোল। তবে, ভিএ আর বললো হ্যাজার্ড ছিলেন অফসাইড। ম্যাচে পুরোটা সময় আধিপত্য দেখিয়েছে রিয়াল। ষাট ভাগ বলের দখল, ৯টা অন টার্গেট শটের পরও আদায় করতে পারেনি গোল।