মিঠা পানিতে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ৮ই অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাত, ক্রয়-বিক্রয়সহ বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
প্রজনন নিশ্চিত করতে ৩০শে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ শিকার বন্ধ থাকছে। ২২ দিনের এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেরা। তবে, এ সময়ে পাশের দেশের জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ ও প্রকৃত ইলিশ শিকারিদের জন্য বরাদ্দ প্রণোদনা বাড়ানোর দাবি, পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার জেলে ও ব্যবসায়ীদের।
আশ্বিনের পূর্ণিমার চারদিন আগে থেকে পরের ১৮ দিন এই ২২ দিনের মধ্যে ৮০ ভাগ মা ইলিশ বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের নদীর মোহনাগুলোতে এসে ডিম ছাড়ে।
ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে মৎস্য বিভাগের এ সিদ্ধান্তে খুশি জেলেরা।
তবে, মৌসুমের শুরুতে গভীর সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ রাখা আরও কিছুদিন পিছিয়ে দেয়া এবং পাশের দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সময় ঠিক করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এছাড়া, ২২ দিনের কর্মহীন সময়ে সরকারের দেয়া প্রণোদনা যেন প্রকৃত জেলেরা পান, তা নিশ্চিত করারও দাবি তাদের।
মাছ ধরায় বিধি নিষেধের ফলে গত বছর প্রায় ৪৮ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সক্রিয় রয়েছে বলে দাবি তাদের।
পটুয়াখালী জেলায় নিবন্ধিত ৬৪ হাজার ৭৭৭ জন ইলিশ শিকারী জেলের মধ্যে ৪৫ হাজার ৬৪২ জন সরকারি প্রণোদনা পাচ্ছেন।