জাতীয়, রাজনীতি, রাজধানী

ইশরাককে চায় দক্ষিণ, তাবিথকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে ওঠার পরামর্শ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৯:০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

উত্তর ও দক্ষিণে কী বিএনপির নেতৃত্বে আসছেন তাবিথ আউয়াল আর ইশরাক হোসেন?

রাজধানীতে দলকে শক্তিশালী করতে বিএনপির পরাজিত দুই মেয়র প্রার্থীকে মহানগর কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলের নেতারা ঢাকা দক্ষিণের কমিটিতে ইশরাক হোসেনের ব্যাপারে যতোটা ইতিবাচক, উত্তরে তাবিথ আউয়ালকে নিয়ে ততোটা আগ্রহী হতে পারছেন না। তারা বলছেন, কমিটির নেতৃত্বে আসতে হলে তাবিথকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। নির্বাচনের মাঠে সাড়া জাগানো আর সাংগঠনিক দক্ষতা এক কথা নয়।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, দেশের জন্য অবদান রাখার জন্য যেকোন প্রক্রিয়ায় যে দায়িত্ব দেয়া হক না কেন আমি করতে প্রস্তুত আছি। 

ঢাকা উত্তর সিটিতে বিএনপির পরাজিত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের এই বক্তব্য ঘিরে উত্তর দক্ষিণের নেতাকর্মীদের মনে ধোঁয়াশার পাশাপাশি প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছে মহানগরের দুই কমিটির ভবিষ্যত নেতৃত্ব নিয়ে। 

তবে কী উত্তর-দক্ষিণে বিএনপির নেতৃত্বে আসেছন তাবিথ আউয়াল আর ইশরাক হোসেন?

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি নবীউল্লাহ নবী বলেন, কমিটি নতুন এবং পুরাতনদের নিয়ে করলেই সংগঠনটি শক্তিশালী হবে। আর নির্বাচিতরা যেন অবশ্যই ঢাকার বাসিন্দা হয়, কোন ভাড়াটিয়া নেতা দিয়ে যেন করা না হয়।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান বলেন, তাবিথ আউয়াল যদি নেতৃত্বে আসেন, তিনি যদি আন্তরিকতা দিয়ে সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারে তাহলে অবশ্যই সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। 

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়ালকে রাজধানীর ভবিষ্যত নেতৃত্বের জন্য বড় প্রাপ্তি বলছে বিএনপি। তবে, দলকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো সাংগঠনিক পূর্ণতা কমিটিতে জায়গা পাওয়ার বড় মাপকাঠি বলেছন নীতি নির্ধারকরা।

বিএনপি্র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মেয়র-মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা একটি আর রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা আরেকটি। একসাথে এই দুটির তুলনা করলে হবে না।

বিএনপি্র আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, রাজনীতি হচ্ছে ফুলের মত। তাড়াতাড়ি করে কোন ফুলকে ফুটাতে গেলে সব ঝড়ে পরে যায়। তবে এটা বলা যায় যে ভবিষ্যত নেতৃত্ব তাদের হাতেই।

গেল বছরের ১৯ এপ্রিল শেষ হয়েছে ঢাকার দুই কমিটির মেয়াদ।

আরও পড়ুন