ঈদের আমেজ নেই দেশের বন্যাকবলিত ৩১ জেলায়। করোনার কারণে কর্মহীন, তার ওপর বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ফিকে।
বাড়িঘর পানির নীচে থাকায় বানভাসিরা ঈদের দিন পার করছেন খেয়ে না খেয়ে। পানিতে ভাসা বেশিরভাগ মানুষই দেননি পশু কোরবানিও। এক মাসেরও বেশি সময় বন্যার পানিতে ভাসছে উত্তরের জেলা গাইবান্ধা। বাড়িঘর আর ভিটে মাটি হারিয়ে অসহায় অসংখ্য মানুষ। ঈদের দিনেও অনেকের ঘরে জ্বলেনি চুলা।
ঈদের আনন্দ নেই কুড়িগ্রামের বন্যা কবলিত চারশো চরের কয়েক লাখ মানুষের। বন্যার সাথে যুদ্ধ করে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে কয়েক দফা। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা বেড়িবাঁধের কাদাপানিতে।
বন্যা কবলিত এলাকারবাসীরা বলেন, ‘আমাদের জন্য দুঃখজনক ঈদ বলা যেতে পারে। ঈদের যে আনান্দ, সেইভাবে কাটাতে পারছি না। কোন বাজার করতে পারিনি। ছেলেমেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে আছি আমরা।’
সিরাজগঞ্জে বন্যা আর নদী ভাঙনের প্রভাব পড়েছে ঈদে। বাড়ি ঘর হারানো মানুষজন দীর্ঘ বন্যার সাথে যুদ্ধ করে এখন চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
জামালপুরে বানভাসিদের ঘরে নেই ঈদের আনন্দ। এক মাসেরও বেশি সময় পানিবন্দি থাকায় উপার্জনহীন মানুষগুলোর ঘরে চলছে চরম খাদ্য সংকট। মাদারীপুরে বন্যা কবলিতদের মধ্যে নেই ঈদের আনন্দ। পানিবন্দি ৩৫ হাজার পরিবার। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকটে বানভাসিরা।