রংপুরে ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে সদস্যদের প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি সমিতির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সঞ্চয়ের নামে তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের পর অফিসে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে সমিতির কর্মকর্তারা।
১২ই নভেম্বর থেকে রংপুর নগরীর মুলাটোলে সিরাজুল ম্যানসনের নিচ তলায় ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির নামে সদস্য সংগ্রহ শুরু করে। আর ডি এফ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। মাত্র ১০ হাজার টাকা সঞ্চয়ের বিপরীতে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেয়ার আশ্বাসে ১৭২ জন সদস্যের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় প্রায় দুই কোটি টাকা।
নগরীর পশ্চিম খাসবাগ এলাকার শারমিন বেগম। ঋণের জন্য বাবা-মেয়ে মিলে সমিতির সঞ্চয়ে জমা দিয়েছিলেন ৬০ হাজার টাকা। ২৪শে নভেম্বর ঋণ নিতে এসে অফিসে তালা ঝুলতে দেখেন। প্রতারণার শিকার একজন জানান, '৬০ হাজার টাকা জমা দিয়েছি। ছয় লাখ টাকা লোন দেবার কথা ছিল।'
তাদের অভিযোগ, ভবনের মালিক সিরাজুল ইসলামের পরামর্শে সঞ্চয়ের টাকা জমা দিলেও এখন কোন দায় নিচ্ছেন না তিনি। এ বিষয়ে এক অভিকারী জানান, 'ওই বাড়ির মালিকে ফোন দিলে তিনি জানান, কোন সমস্যা নাই আপনার সদস্য হয়ে যান।'
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলেও দেখা করেননি সিরাজুল। মোবাইল ফোনে জানান, আরডিএফ সাইনবোর্ড ঝুলালেও তাদের কাছে বাসা ভাড়া দেননি তিনি। আর টাকা সংগ্রহের বিষয়ে কিছুই জানা নেই তার। তিনি বলেন, '১৫ তারিখ সাইনবোর্ড লাগিয়ে ছিল। ১৬ তারিখ তারা চলে গেছে। তারা আমার কাছে আর আসে নি। কোন গ্রাহকের সাথে আমার মোবাইলে বা সামনাসামনি কোন ভাবেই কথা হয়নি।'
পুলিশ জানায়, তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের ধরতে কাজ করছেন তারা। রংপুর কোতয়ালী থানা তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, 'দুই জন প্রতারকের ছবি চিহ্নিত করেছি। দুটি মোবাইল নাম্বারও পেয়েছি। তবে সে দুটি বন্ধ। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এটা আইডেন্টিফাই করার চেষ্টায় আছি।'
একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে যেখানে ১২ থেকে ২০শে নভেম্বরের মধ্যে নগরীর সালেক মার্কেটে সদস্য সংগ্রহ করতে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার ফয়সাল আহম্মেদ ও তার সহযোগীকে।