স্বাস্থ্য

এক টি-ব্যাগে পেটে যাচ্ছে ১১ বিলিয়ন মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা

ময়ূখ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৪ঠা অক্টোবর ২০১৯ ০৬:৩৪:০৪ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চা পান করতে খুব পছন্দ করেন? গরম পানিতে টি ব্যাগ ডুবিয়ে চা পান করছেন? তাহলে একটু খেয়াল করে দেখেন, ওই টি ব্যাগগুলি প্লাস্টিকের তৈরি কিনা।

কয়েক বছর আগে, নাথালি টুফেনকজি কাজ করার পথে মন্ট্রিলের ক্যাফেতে নেমে এক কাপ চা অর্ডার করেন। চায়ের উষ্ণতা উপভোগ করতে গিয়ে হঠাৎই তার মনে হয় প্লাস্টিকের তৈরি টি ব্যাগগুলি হতে পারে খুবই ক্ষতিকর।

তার ভাষ্য, 'আমি ভেবেছিলাম, ফুটন্ত জলে প্লাস্টিক লাগানো কোনও জিনিস ডুবিয়ে সেটা পান করা খুব একটা ভাল বিষয় নয়।' টুফেনকজি আশঙ্কা করেছিলেন যে ওই প্লাস্টিকের ব্যাগগুলি পানীয়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাসটিকের কণা যোগ করছে এবং এটা মারাত্মক।

ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসায়নিক বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কাজ করা নাথালি টুফেনকজি তখন ঠিক করেন যে, তিনি বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা করবেন। যা ভাবা, তাই কাজ। তিনি তাঁর ছাত্র লারা হার্নান্দেজকে স্থানীয় দোকান থেকে কিছু টি ব্যাগ কিনে তার ল্যাবে নিয়ে আসতে বলেন। দেখা যায়, টুফেনকজির আশঙ্কা একদম ঠিক ছিল। ওই টি ব্যাগগুলি থেকে গরম চায়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা প্রবেশ করছিল। ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে খবর এনডি টিভির। 

হার্নান্দেজ, টুফেনকজি এবং ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদেরসহ গবেষকরা ফুটন্ত জলে চার ধরণের প্লাস্টিকের টি ব্যাগ ডুবিয়ে পরীক্ষা করেন এবং দেখতে পান যে একটি ব্যাগই ১১ বিলিয়ন মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ৩ বিলিয়ন ন্যানোপ্লাস্টিক কণা ছড়াচ্ছে। আপনি হয়তো সাধারণ চোখে ওই দূষণ দেখতে সক্ষম হবেন না; গবেষকরা একটি বৈদ্যুতিন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন এটি।

তাদের এই গবেষণার বিস্তারিত বিবরণ চলতি মাসে আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি জার্নাল এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রকাশিত হয়। তারা জানান, বেশ কিছু চা বিক্রয়কারীরা কাগজের টি ব্যাগের পরিবর্তে প্লাস্টিকের টি ব্যাগগুলিতে চা বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে জনসাধারণকেই সচেতন হতে হবে। ক্ষতিকারক হলেও বিশ্বজুড়ে মানুষ অজান্তেই প্রচুর পরিমাণে টি ব্যাগ ব্যবহার করে চা পান করেন।

গবেষকদের পরামর্শ, দোকান থেকে টি ব্যাগ কেনার আগে যাচাই করে নিন, সেগুলো প্লাস্টিকের তৈরি নাকি কাগজের তৈরি! কাগজের তৈরি হলে তবেই সেই টি ব্যাগ কিনুন, নিজের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য়েই বর্জন করুন প্লাস্টিক।

আরও পড়ুন