না.গঞ্জ সিটি নির্বাচন

এজেন্টদের নিয়ে তৈমুরের আশঙ্কার প্রমাণ মেলেনি

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১৬ই জানুয়ারী ২০২২ ০২:৪৭:১৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার নিজের এজেন্টদের নিয়ে যেসব আশঙ্কা করেছিলেন, বাস্তবে তার কোনো রকম প্রমাণ মেলেনি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে তার কোনও এজেন্টই কোনও কিছু নিয়ে আপত্তি তোলেননি।

যে-কোনও নির্বাচনের দিন বিরোধীদলের প্রার্থীদের এজেন্টদের হয়রানি, মারধর, কেন্দ্র থেকে বের করে দেবার মতো অভিযোগ থাকে।  প্রমাণও মেলে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম তার এজেন্টদের নিয়ে সেই আশঙ্কা করে আসছিলেন। অথচ ভোটগ্রহণ শুরুর পর এ পর্যন্ত কোনো ভোটকেন্দ্রে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি।

তৈমুরের এজেন্টরা জানান, এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের সমস্যা হয় নি। আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি।  ভোটাররা ভালো এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারছে।

এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতেও তৈমুরের এজেন্টরা কোনো অভিযোগ করেননি। তারা জানান, আমাদেরকে কেউ কোন ধরনের হুমকি বা হামলা করেনি। আমরা ঠিকভাবে আমাদের কাজ করতে পারছি। হাতি মার্কার ভোটাররা শান্তিপূর্নভাবে ভোট দিচ্ছে। কেউ তাদেরকে কোন বাধা দিচ্ছে না। কেন্দ্রের পরিবেশও শান্তিপূর্ন আছে।

এর আগে, এক সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর তার এজেন্টের নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন,পুলিশ আমার এজেন্টদের হয়রানি করছে। তাদের বাসাবাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে নির্বাচনের দিন পোলিং এজেন্ট নিয়োগসহ ভোট প্রদানে যেখানেই বাধা আসবে, সেখানেই লড়াই বাধবে। এটা অনেক পুরানো স্লোগান। আমরা বাঙালি, যেখানে বাধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ করবে।

প্রথমবারের মতো নাসিকের শতভাগ ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট নেয়া হচ্ছে। ১৯২টি ভোটকেন্দ্রে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়োজিত আছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে আছে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সদস্যরা। এছাড়াও বহিরাগতদের আজ নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী লড়ছেন। তারা হলেন- ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (হাতী) হিসেবে বিএনপি নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ছাড়াও এ পদে লড়ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জসীমউদ্দীন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)।

এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪৩ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিসিলর নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মোট ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন।

আরও পড়ুন