আজ ৩রা ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় বরগুনা ও ঠাকুরগাঁও। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসররা।
মুক্তিযুদ্ধে বরগুনা ছিল নবম সেক্টরের বুকাবুনিয়া সাব-সেক্টরের অধীন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর বরগুনার মুক্তিকামী তরুণেরা বাঁশের লাঠি, গুটি কয়েক রাইফেল, বন্দুক নিয়ে শুরু করেন প্রশিক্ষণ।
তবে, দুর্বল প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে বরগুনাতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় পাকবাহিনী । ২৯ ও ৩০শে মে জেলখানায় গুলি করে হত্যা করে ৭৬ জনকে। পাশাপাশি নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর চালায় পৈশাচিক নির্যাতন।
পরবর্তীতে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা ফিরে আসেন বরগুনায়। ২রা ডিসেম্বর রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধের পর পিছু হটে পাকবাহিনী।
সারাদেশ থেকে যখন একের পর এক শত্রু দের আত্বসমর্পনের খবর আসতে থাকে, ঠিক তখনই ৩০শে নভেম্বর পাকসেনারা ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। যদিও ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত ঠাকুরগাঁওয়ে ঢুকতেই পারেনি পাকিস্তানি সেনারা।
পরবর্তীতে ২রা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে গোলাগুলির পর পিছু হটে পাকিস্তানি বাহিনী। পরদিন ৩রা ডিসেম্বর বিজয়ের বেশে মুক্তিবাহিনী ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ায়।