আন্তর্জাতিক, ভারত

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ মামলার রায় শনিবার

ইসতিয়াক হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৯ই নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪২:৩৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ৪০ দিন শুনানির পর এ রায় ঘোষণা করবেন।

বহুল প্রতীক্ষিত অযোধ্যার বাবরি মসজিদ মামলার রায় শনিবার সকাল ১০টায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় প্রদান করবেন। এই রায়কে সামনে রেখে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। এরই অংশ হিসেবে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার।

বাবরি মসজিদ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকল রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কয়েক দশক ধরে চলা বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার সব রাজ্যকে সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্র সরকার।

রায়কে ঘিরে উত্তরপ্রদেশ, বিশেষ করে অযোধ্যার সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রায় চার হাজার আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশনা দিয়ে সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোতে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। এছাড়াও দেশের কোথাও যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতেও সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাবরি মসজিদ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে যে কোনো রকমের উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে বিজেপি নেতাদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর রায়ে মসজিদ থাকবে আশা প্রকাশ করে আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জমিয়াতে উলেমায়ে হিন্দ।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল বাবরি মসজিদের ভূমি তিনভাগে ভাগ করে বন্টন করার আদেশ দেয়। বাবরি মসজিদের ২ দশমিক ৭ একর জমি মুসলিম ওয়াকফ বোর্ড, নিরমাজি আখড়া এবং রামনালা পার্টিকে সমানভাবে ভাগ করে দেয়ার আদেশ দেয় দেশটির আদালত। কিন্তু, হিন্দু-মুসলিম দু'পক্ষই সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করে। দীর্ঘ সময় পর শুনানি শেষ হয়েছে। এখন যেকোনও দিন রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা।

প্রসঙ্গত, ষোড়শ শতকে নির্মিত ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালে ভেঙ্গে ফেলে উগ্রপন্থী হিন্দুরা। তাদের দাবি সেখানে এর আগে রামমন্দির ছিল। এরপরই, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।

আরও পড়ুন