বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ, সংস্কৃতি

ঐতিহ্যিবাহী লাঠি খেলা; হাজারও মানুষের ঢল

মো. হামিদুর রহমান

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩০:৩৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম বিনোদনের অনুষঙ্গ লাঠি খেলা। তবে গ্রামীণ এলাকার সংস্কৃতির ধারক এই খেলা আজ বিলুপ্তির পথে। সেই সঙ্গে বিপাকে পড়েছে ঐতিহ্যিবাহী এই খেলাটির সঙ্গে জড়িত মানুষদের জীবন। কিন্তু আজও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হয়ে থাকে এই খেলাটি।

পূর্ণিমা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে সেই লাঠি খেলার আসর বসে।

সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামীন ঐতিহ্যবাহী এই লাঠি খেলা। একে অপরকে ঘায়েল করার চেষ্টা বাদ্যের তালে চলছে লাঠি খেলা। ঢুলিদের ঢোলের তালে তালে আত্রাই, রাণীনগর, আতোয়াল ও দিঘাসহ ৭ দল এ খেলায় অংশ নেয়। বাহারি ধরনের পোশাক পড়া লাঠিয়ালরা নেচে গেয়ে নানা ধরনের শারিরিক কসরত প্রদর্শণ করেন।

প্রতি পক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা আর প্রতি পক্ষকে কাবু করায় আরন্দ লাঠিয়াল আর দর্শকদের। তবে বাদ্যের তালে তালে যারা নেচে-গেয়ে দর্শকের মনে আনন্দ যোগায় তাদের জীবন-জীবিকা আজ সংকটাপূর্ণ বলে জানান লাঠিয়ালরা।

ঐতিহ্যবাহী এই খেলা দেখতে ভীর জোমায় হাজারো নারী-পুরুষ। এ খেলা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হলেও নতুন প্রজন্মের কাছে একেবারেই নতুন। তাইতো পূর্ব পূরুষের এ খেলা প্রতিবছরই আয়োজন করার দাবী দর্শনার্থীদের।

পূর্ণিমা পল্লী উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক লাঠি খেলার আয়োজক, এস. এম হাসান সেন্টু বলেন, গ্রামীণ এই ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে লাঠি খেলার ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এমন আয়োজন বলে জানালেন আয়োজকরা।

আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোসলেম উদ্দীন বলেন, এমন আয়োজন যুব সমাজকে মাদক, জুয়া ও ইভজিজিং থেকে দুরে রাখবে। তাই এমন আয়োজন নিয়মিত করার আহবান জানান তিনি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান এবাদ বলেন, হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ এমন ঐতিহ্যবাহী খেলা আয়োজন করায় আয়োজককে ধন্যবাদ জানায়। এবং এমন আয়োজনে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগীতা থাকবে বলেও জানান এবাদুর রহমান।

আরও পড়ুন