ইসলাম

ওয়াজ-মাহফিলে কতিপয় শ্রোতার উদ্ভট আচরণ

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৪ঠা মার্চ ২০২০ ০১:১৯:৫৮ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ওয়াজে বক্তাকে নানা কায়দায় জড়িয়ে ধরা, ব্যতিক্রমী অঙ্গভঙ্গি এবং প্যান্ডেলের বাঁশ বেয়ে ওপরে ওঠার মতো অদ্ভূত আচরণ।

ওয়াজে নাচানাচি, দৌড়াদৌড়ি, মঞ্চ তছনছ বা লাফিয়ে প্যান্ডেলের বাঁশ বেয়ে উপরে উঠছেন এক শ্রেণির শ্রোতা। এসব শ্রোতার কেউ অন্য শ্রোতা বা বক্তাকে আক্রমণ করছেন। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরণের উদ্ভট আচরণ ইসলামে গ্রহনযোগ্য নয়। আর এ ধরণের আচরণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কথা বলছে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন।

ওয়াজ-মাহফিলে অনেক সময় দেখা যায় শ্রোতা মঞ্চ ভাংচুর করছেন বা চেয়ার ছুড়ে ফেলছেন। কখনো বক্তা আবার কখনো অন্য শ্রোতাকে আক্রমণ করছেন তারা।

এ বিষয়ে শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম বলেন, 'ওয়াজ মাহফিলে যদি লোক দেখানোর জন্য এমন আচরণ করে থাকে তাহলে তা সম্পূর্ণ হারাম। এটা জায়েজ না।

ওয়াজে অনেক সময় বক্তাকে খোদা বলে দাবি করছেন কোনো কোনো শ্রোতা। ওয়াজের এক পর্যায়ে শ্রোতারা নানা কায়দার বক্তাকে জড়িয়ে ধরে ব্যতিক্রমী অঙ্গভঙ্গিও তাদের। লাফালাফি থেকে নাচানাচি কোনো কিছুই বাদ দেন না এসব শ্রোতা।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'মঞ্চে উঠে লাফালাফি করবে, বাঁশ বেয়ে উপরে উঠবে, এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ না। বুঝতে হবে সে মানসিকভাবে অসুস্থ। আর যে মানসিকভাবে অসুস্থ তার জন্য ইসলামী বা সামাজিক কোনো বক্তব্যই উপযুক্ত না। একমাত্র বক্তব্য হলো তাকে চিকিৎসা করানো।'

নানা বাক্য ব্যয় আর প্রশংসায় শ্রোতাদের এধরণের আচরণকে উৎসাহিত করেন অনেক বক্তা।

এসব রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কথা বলছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'এসব কাজে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সচেতনতামূলক কাজ করছে।'

আরও পড়ুন