করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ই-কমার্সের মাধ্যমে খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রী পরিবহণ ও সরবরাহে উৎসাহিত করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ জন্য সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত চলাচলের ওপর শর্তসাপেক্ষে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তার ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ই-কমার্স সেল আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে:
- খাদ্য, কৃষিজ পণ্যসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত ট্রাক ও যানবাহন সার্বক্ষণিক চলাচল করতে পারবে।
- অনলাইন বা ই-কমার্সের মাধ্যমে কেনাকাটাকে উৎসাহিত করা হবে। পণ্য সরবরাহকারী (ডেলিভারিম্যান) দুপুর ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে পণ্যাগার (ওয়্যারহাউস) খোলা রাখা যাবে।
- ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁগুলোর রান্নাঘর দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। অনলাইনে পার্সেলের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্তও রান্নাঘর খোলা রাখা যাবে।
- কখনোই রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া দাওয়া করা যাবে না।
- খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ যারা করবেন, তারা কোনো অবস্থাতেই রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে ঢুকতে পারবেন না। রান্নাঘরের বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করে গ্রাহকের কাছে তা পৌঁছে দিতে হবে।
- পণ্য সরবরাহকারী ও পণ্য পরিবহণে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র দেবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান। সরবরাহকারী ব্যক্তি ও যানবাহনের জন্য ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) লোগো এবং ক্রমিক নম্বরসংবলিত পরিচয়পত্র ব্যবহার করা যেতে পারে। ইক্যাব সদস্যদের পরিচয়পত্রও দেবে।
- সকল ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
চিঠি পাঠানো হয়েছে দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের উদ্দেশে।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ১৪ই এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১শে এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত বেশকিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এসব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতে বলা হয়েছে সারা দেশের মানুষকে সাধারণ ছুটির আওতায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাকি সবরকম সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সার্বিক বিষয়ে তদারকি ও কঠোরভাবে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসন মাঠে থাকবে।