জাতীয়, সংস্কৃতি

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯তম জন্মজয়ন্তি আজ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৮ই মে ২০২০ ০৭:৪৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সংকটময় সময়ে কবিগুরুর সৃষ্টি বাঙ্গালির অনুপ্রেরণা যোগায়।

আজ ২৫ শে বৈশাখ। বাঙলা সাহিত্যের ধারক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৯ তম জন্মজয়ন্তি আজ। মানবতার বিশ্বকবি বাঙালির মননে, কল্পনায় ও চেতনায় জড়িয়ে আছেন সবসময়। সকল কাজের মতোই জীবন সংগ্রামেও চিরকালের সঙ্গী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দর্শন।

স্কটিশ কবি রবার্ট বার্নসের লেখা গানটির সুরে রবীন্দ্রনাথের ফুলে ফুলে গানটিতে এখনও উদ্বেলিত হয় সব বাঙালির মন। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এমন হাজারো গান লিখে সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে।

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ৬ নং দ্বারকানাথ ঠাকুর লেনের জমিদার পরিবারে ১৮৬১ সালে জন্ম কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। পিতামাতার চোদ্দো সন্তানের মধ্যে কণিষ্ঠতম রবীন্দ্রনাথের বিদ্যাশিক্ষা শুরু হয় দাদা হেমেন্দ্রনাথের হাতে। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-য় প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা প্রথম কবিতা "অভিলাষ"। ১৯০১ সালে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তীতে সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।

বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথের পদচারণা ছিল না। দুই বাংলার জাতীয় সংগীতের স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৮টি নাটিকা, ৩৬টি প্রবন্ধ, ৯৫টি ছোটগল্প ও প্রায় দুই হাজারের মতো গান।  তার সৃষ্টিকর্মের গুনগত মান নিয়ে তাই কখনো প্রশ্ন ওঠেনি।

কবি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য চর্চায় ছিলো বিচিত্র কাটাকুটি, এই কাটাকুটি থেকে বেরিয়ে আসতো নানা রকমের মুখ, প্রাগৈতিহাসিক দানব, সরীসৃপ ।১৯২৩ সালে রক্তকরবীর পাণ্ডুলিপির খসড়ায় কাটাকুটি থেকে ছবি একেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৭৮-৮২, এ চার বছরে তিনি ‘মালতী’ পুঁথির পাতায় ছবি আঁকতেন। তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরাদস্তুর ছবি আঁকা শুরু করেন ১৯২৮ সাল থেকে। তার আঁকা আড়াই হাজারের ওপর ছবি যুক্ত হয়েছে সাহিত্য কর্মে। 

রবীন্দ্রনাথ দেশভাগ কিংবা জাতিগত বিভেদ কখনই চাননি, তাই তো ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকে ঘিরে তিনি লেখেন- বাঙলার মাটি বাঙলার জল, বাঙলার বায়ু বাঙলার ফল পূন্য হউক হে ভগবান.... ১৯৩৯ সালে নেতাজি সুভাষ বোষের উপস্থিতিতে মহাজাতি সদনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তার কিয়দংশ উপস্থাপন্ও করেন কবিগুরু। 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান। কিন্তু তার অমর সৃষ্টি সোনার তরীর মতো সৃষ্টিকর্ম রেখে ধরণী থেকে বিদায় নেন ১৯৪১ সালে। বাঙালি সংস্কৃতির চিরায়ত রূপকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আপন সৃষ্টির আলোয় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন বাংলা সাহিত্যে । তাইতো সংকটময় সময়গুলোতেও কবি গুরুর সৃষ্টিই বাঙালিকে অনুপ্রেরণা যোগায়।, জ্ঞান বিদ্যায় এগিয়ে নিয়ে যায় মুক্তির পথে। 

আরও পড়ুন