অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবে পৃথিবীর ১৮০ কোটি মুসলমান।
করোনাভাইরাসে কাবু গোটা বিশ্ব। এবার, অবরুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবে পৃথিবীর ১৮০ কোটি মুসলমান। সংক্রমণ ঠেকাতে তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলায় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বহু দেশে ঈদের জামাত না করার অনুরোধ ও ফতোয়া দেয়া হয়েছে। গণপরিবহণ ও যান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকেই ফিরতে পারেননি পরিবারের কাছে।
করোনার বিস্তার রোধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এবার দেশটিতে ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। সেখানে ঈদের দিন ২৪ ঘণ্টা কারফিউ থাকবে। ঘরেই নামাজ পড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিসরে এবারের ঈদ হবে ঘরবন্দি থেকেই। ঈদের দিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ থাকবে সেখানেও। তাই কারও বাসায় বেড়ানোর রীতিতে এবার ব্যতিক্রম দেখা যাবে।
করোনার সংক্রমণরোধে জেরুজালেমে জারি করা নিষেধাজ্ঞা অনেকাংশে শিথিল করা হয়েছে। খোলা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় বন্ধ আল-আকসা মসজিদ।
আর ঈদে সবাইকে বাড়ি না ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে নেয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। তাই পরিবারের কাছে যেতে পারেননি অনেকে।
করোনার কারণে ঈদের চিত্র বদলে গেছে দুবাইয়ে। সেখানে মসজিদ, প্রার্থনার জায়গা বন্ধ রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে ঈদেও।
তুরস্কে ঈদের সময় কড়াকড়ি করা হবে লকডাউন। তবে যুদ্ধ নেই, তাই শান্তির পরশ সিরিয়ার ইদলিবে। যুদ্ধবিরতির ফলে বহুবছর পর আনন্দে ঈদ উদযাপনের স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা।
করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে থাকা দেশগুলোর একটি মালয়েশিয়া। এ কারণে অন্য দেশের তুলনায় ঈদ কিছুটা বর্ণিল হতে পারে দেশটিতে। লকডাউন শিথিল করা হয়েছে ঈদকে সামনে রেখে। ছোট ছোট দলে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের দিন বাইরে বের হতে পারবেন।
লকডাউন উপেক্ষা করেই আফগানিস্তানে ঈদের বাজারে উপচে পড়া ভিড়। মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা। আর ঈদ শপিংয়ের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করলেও দীর্ঘ লকডাউনে ক্ষতির মুখে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলোতেও জমেনি ঈদ বাজার। তবে, লকডাউনের কারণে ইরাকের মসুলে জনপ্রিয় উঠেছে অনলাইন ব্যবসা।