অন্য রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে গুরুত্ব দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আহ্বান।
করোনা মহামারির এই দুর্দিনে সমস্যায় পড়ছেন অন্ত:সত্ত্বা নারীরা, অনেকেই স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। সাধারণ ছুটিতে গণপরিবহন বন্ধ থাকা ও হাসপাতালগুলোতে সেবা সীমিত হয়ে পড়ায় চিকিৎসক দেখানো ও নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জটিলতায় পড়তে হচ্ছে অনেককে। যদিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনা ব্যতীত অন্য রোগীরা যেন হাসপাতালে চিকিৎসা পায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কিন্তু বাস্তবচিত্র ভিন্ন।
লকডাউনের ফলে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। করোনা সংক্রমণের ভয়ে হাসপাতালগুলোতে সীমিত হয়ে এসেছে স্বাস্থ্যসেবা। এ কারণে গর্ভবতী নারীরা নিয়মিত চেকআপ, আল্ট্রাসনোগ্রামসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সহজেই পাচ্ছেননা।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ জানানোরও কোন জায়গা নেই। ক্ষুদ্ধ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরছেন স্বজনেরা।
গত ২৮ এপ্রিল ইউএনএফপিএ'এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী আক্রান্ত দেশগুলোতে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নারীরা, এ সকল দেশে বাড়ছে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের হার।
এজন্য চিকিৎসকেরা গর্ভবর্তীদের সরকারি হাসপাতালে সেবা নেবার পরামর্শ দিয়েছেন।
আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসুতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শারমিন আব্বাসি বলেন, এই মুহূর্তে গর্ভকালীন নারীরা খুব বেশি জরুরি না হলে হাসপাতালে আসাটা উচিত হবে না। আমরা জোনভিত্তিক ডাক্তারদের ফোন নাম্বার দিয়ে দিয়েছি যাতে করে এই সময় তারা হাসপাতালে না এসে টেলি মেডিসিনের সাহায্যে সেবা নিতে পারে। এছাড়া যে কোন ইমার্জেন্সির জন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে কোন রোগী ফেরত যাবে না।
অন্যান্য রোগীদের গুরুত্ব দিতে হাসপাতালগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমাদের ২৭ জন টেকনিক্যাল কমিটির অবজারবেশন ছিল যে কোন রোগীকে হাসপাতাল থেকে যাতে ফিরিয়ে না দেয়া হয়। এ বিষয়ে আমাদের দুই মাস আগেই নির্দেশনা ছিল। এটি আমরা আরও গুরুত্ব সহকারে দেখবো।
এছাড়া, লকডাউনের মাঝেও যেন পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম চলমান থাকে সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়াও হচ্ছে।