করোনা সন্দেহে কুর্মিটলা হাসপাতালের আইসোলেশনে রামেকের এক নার্স।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের একজন নার্সকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি কুর্মিটলা হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ২১শে মার্চ তাকে রাজশাহীতে স্থাপিত সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছিল। তবে সরঞ্জাম না থাকার কারণে চিকিৎসকেরা তার পরীক্ষা করতে পারেন নি।
অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস। তিনি জানান, ঢাকা থেকে বাসে ফেরার সময় তিনি ইতালিফেরত এক প্রবাসীর সহযাত্রী ছিলেন। রাজশাহী ফিরেই তাঁর জ্বর আসে। এ জন্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে তিনি নিজেই সন্দেহ করে চিকিৎসকদের জানান। এরপর তাকে রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছিলো। পরে তিনি নিজের ইচ্ছায় বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে চলে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়। পরে রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) যোগাযোগ করার পর তাকে রাতে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ওই নার্সের বাড়ি নাটোর সদরে। তিনি রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন। তার স্বামী জানান, তাকে কুর্মিটলা হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়েছে। তবে দুপুর ২টা পর্যন্ত তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী চিকিৎসকদের বার বার বলেছেন, ‘আমি নার্স, আমিতো বুঝতে পারছি। করোনা ভাইরাসের সব লক্ষণ আমার মাধ্যে রয়েছে। দ্রুত পরীক্ষা করুণ।’ কিন্তু গত চারদিনেও তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ১৬২ জন প্রবাসী কোয়ারেন্টিনে গেছেন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯৩ জন। মোট ৫২৮ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩৫ জন।