আগামী বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখলে কর দেয়া বন্ধ করে দিতে চান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রেজওয়ান রাহমান।
মঙ্গলবার বিকেলে, ইআরএফ এবং আইসিএবির আয়োজনে বাজেট নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনায় এসব মতামত তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবদিরা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রেজওয়ান রাহমান বলেন, আগামী তিন বছরে কোম্পানির করহার ধাপে ধাপে সাড়ে সাত শতাংশ কমানোর পর যে করহার হবে, তাও বৈশ্বিক গড় কর্পোরেট হারের তুলনায় বেশি। এছাড়া কালো টাকা বিনিয়োগের বিদ্যমান বৈষম্য তুলে ধরে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছর এ পর্যন্ত ১২ হাজার কোটি কালো টাকা সাদা হয়েছে। এখান থেকে সরকার কর পেয়েছে মাত্র ১২০ কোটি টাকা। ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো সাদা করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যদি ৩২ শতাংশ কর দিই, তাহলে কালো টাকার ক্ষেত্রে এর ওপর আরো ১০ শতাংশ জরিমানা থাকতে হবে। নাহলে আমরা আগামীতে কর দেয়া বন্ধ করে দেব।
এছাড়া অবৈধ পথের আয়কে বৈধ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, দয়া করে চুরি ডাকাতির টাকাকে সাদা করবেন না। এতে কেউ সমর্থন দেবেন না। ঢালাও সব খাতে কালো বিনিয়োগের সুযোগ না দিয়ে স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, বন্ড মার্কেট শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগে গুরুত্ব দেন তিনি।
আগামী বাজেটে টিকা কর্মসুচির জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পরামর্শ দিয়ে ডক্টর আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশিয় টিকা উন্নয়নের জন্য কৌশলগত সরকারি বিনিয়োগ দরকার। আর উৎপাদন বাড়িয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে ভোগ্য কর কমানোসহ আয়কর যৌক্তিককরণের দাবি ওঠেছে।
সৎ ব্যবসায়ীদের ঠকিয়ে বার বার এই অন্যায্য ব্যবস্থা চালু রাখায় অসন্তোষ জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবিরসহ অর্থনীতিবদিরাও।