প্রায় ৮ মাস পর কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। দেশে বোরোর বাম্পার ফলন ও ধানের দাম কমায় চালের দামও কমছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের ক্ষতি, করোনার প্রভাবে সরবরাহে সমস্যাসহ নানা কারণে গতবছর থেকে বাড়তি চালের দাম। দেশের বৃহত্তম কুষ্টিয়ার খাজানগর মোকামে গত এক বছরে চালের কেজি বেড়ে যায় ২০ টাকা পর্যন্ত।
মিল গেটেই সরু মিনিকেট বিক্রি হয় ৬০ টাকার ওপরে। এছাড়া আটাশ ৫৫ ও মোটা চাল বিক্রি হয় ৪৫ টাকা কেজি। তবে, প্রায় ৮ মাস পর কুষ্টিয়ার খাজানগর মিলগেটে কমতে শুরু করেছে চালের দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন- বোরো ধান উঠতে শুরু করায় এবং ধানের সংকট না থাকায় উৎপাদনে এতে সব ধরনের চালের দাম বস্তা প্রতি কমেছে ১৫০ থেকে ২শ' টাকা।
ফ্রেস অ্যাগ্রো ফুড লিমিটেড স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক বলেন, মিলগুলো পুরোদমে উৎপাদনে ফিরলে চালের দাম আরো কমবে বলে আশা করছি।
এদিকে, মিল গেটে চালের দাম কমায় খুচরা বাজারেও কমতে শুরু করেছে। ধান ও চালের বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম তাহসিনুল হক বলেন, বাজারে চালের দাম যা আছে তা কমই বলা যায়। কৃষকের ঘর থেকে যখন মিলে ধান আসবে তখন দাম আরও কমে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বাজারগুলোতে প্রতিদিন চাল সরবরাহ হয় খাজানগর মোকাম থেকে। ফলে সারা দেশেই ক্রেতারা আগের চেয়ে কম দামে চাল পাবেন বলে আশা মিল মালিকদের।