কুষ্টিয়ায় বছরের অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় মশার উৎপাত বেড়েছে কয়েকগুন। করোনায় সব বন্ধ থাকায় খোদ মেয়রের কার্যালয়ই হয়ে উঠেছে মশার নিরাপদ প্রজনন ক্ষেত্র।
কুষ্টিয়ায় মেয়রের কার্যালয়ের পাশে আম বাগানে থাকা ভ্যানগুলোই এখন মশা প্রজননের আদর্শ ক্ষেত্র। এসব জায়গায় বৃষ্টির জমে থাকা পানিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ কুষ্টিয়া পৌর এলাকার বাসিন্দারা। মশার অত্যাচার থেকে বাঁচতে অনেকেই নিজ উদ্যোগে ছিটাচ্ছেন ওষুধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মশার কারনে এক রুমে চারটি গ্লোব ধরাও থাকতে পারিনা। বিকেল হতে হতেই শুরু হয়ে যায়। মশা নিধনে ওষুধ ছিটানোর কথা থাকলেও দেখা যায়না। যা ছিটায় পর্যাপ্ত নয়।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু আমাদের খেয়ালে আছে, আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে সুখের খবর হলো আমরা এখনো কুষ্টিয়া জেলাতে কোন ডেঙ্গু রোগী পাইনি বা শনাক্ত হয়নি।’
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘ডেঙ্গুর লার্ভা নিধনের জন্য লার্ভা সাইড এবং এডিস মশার এডালটি সাইড আমরা ব্যবহার করছি। যার কারনে এবার আশা করি, ডেঙ্গু কুষ্টিয়া জেলার মানুষের ক্ষতি করতে পারবে না।’