জাতীয়, জেলার সংবাদ

কুড়িগ্রামের ডিসিসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা, কারণ দর্শানোর নোটিশ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ২৬শে মার্চ ২০২০ ০৩:২২:৪৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কুড়িগ্রামের আলোচিত সেই জেলা প্রশাসকসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের।

সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন ও জেল-জরিমানার ঘটনায় ওএসডি হওয়া কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোছা. সুলতানা পারভীনসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় অন্য তিন কর্মকর্তা হলেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব (আরডিসি) নাজিম উদ্দীন, সহকারী কমিশনার (এসি) এসএম রাহাতুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (এসি) রিন্টু বিকাশ চাকমা।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বৃহস্পতিবার (২৬শে মার্চ) সাংবাদিকদের বলেন, ডিসিসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। ওএসডি থাকাকালে তাদের বেতন বন্ধ থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ওখান (কুড়িগ্রাম) থেকেও একটি মামলা হবে।

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, 'জামালপুরের জেলা প্রশাসকের (নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা) মতো এরপর তাদের শুনানির সম্মুখীন হতে হবে। অপরাধের মাত্রা ও সার্ভিস রুলস অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৩শে মার্চ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

গত ১৩ই মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে বাড়ির দরজা ভেঙে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের জেল দেয়ার ঘটনায় ১৫ই মার্চ ডিসি সুলতানা পারভীনসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে ওএসডি করা হয়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুনানি শেষে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাজিম উদ্দীনসহ দুই-তিন জনের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের তদন্ত শেষে দুদককেও বলবো তাদের দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য।

প্রতিমন্ত্রী জানান, 'নাজিম উদ্দীন উখিয়াতেও এসি ল্যান্ড থাকাকালে ঝামেলা করেছিল। একজন কর্মকর্তা জয়েন করে কোটি টাকা উপার্জন করেছে, এটা মানা যায় না। তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা থাকবে। এটা উদাহরণ হবে সবার জন্য। তাদেরকে শাস্তি দিয়ে অন্যকে শেখানো যে দুর্নীতিকে এই সরকার টলারেন্স করবে না।' সরকার জনমুখী ও জনবান্ধব প্রশাসন গড়তে চায় বলেও উল্লেখ করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন