অর্থনীতি, জেলার সংবাদ, কৃষি

কৃষকদের হতাশা, চাতালকল মালিকদের শঙ্কা

ময়ূখ

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১৬ই মে ২০২০ ০৮:০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দেশের হাওরাঞ্চলের উৎপাদিত ধানের সবচেয়ে বড় হাট বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর পাড়ে। তবে করোনার কারণে চাহিদা অনুযায়ী ধান নিয়ে আসতে পারছেন না কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।  

মৌসুম চলার পরেও চাহিদা অনুযায়ী ধান কিনতে না পারায় সরকারি খাদ্য গুদামে চাহিদা মতো চাল সরবরাহ করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চাতালকল মালিকরা। আর কৃষকরাও বলছেন, ধানের মূল্যে তারা এবারও হতাশ।

বোরো মৌসুমে প্রথম দুই থেকে তিন মাস দৈনিক এক লাখ মণ ধান বেচাকেনা হয় আশুগঞ্জ মোকামে। আর বাকি সময়গুলোতে গড়ে বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মণ ধান। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাটে ২০ থেকে ৩০ হাজার মণ ধান বেচাকেনা হচ্ছে। মূলত চাতালকল মালিকরা অর্থ সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী ধান কিনতে পারছেন না।  

তবে আশুগঞ্জে ধান ও চাল কেনা শুরু হবে জানিয়ে গুণগতমান যাতে ভাল থাকে, তার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.মাইনুল হোসেন ভুইয়া।

কোন মধ্য সত্ত্বভোগি বিশেষ সুবিধা নেয়ার কোন সুযোগ নেই।  অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

জেলার সাড়ে তিনশ চাতালকলের মধ্যে শুধুমাত্র আশুগঞ্জ উপজেলাতেই রয়েছে প্রায় তিনশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে ১৪,৩৬০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে সরকার। তার মধ্যে আশুগঞ্জ থেকে মাত্র ৫৬৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। আগামী ৩১শে আগষ্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করবে সরকার।   

আরও পড়ুন