করোনার কোনো উপসর্গ নেই খালেদা জিয়ার। শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বুধবার, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্যাচুরেশন স্বাভাবিক। রুচিও ভালো। তাপমাত্রা গত তিন দিন ধরেই ভালো। শ্বাসকষ্ট নেই, করোনার কোনো উপসর্গ নেই। কিছুটা শারীরিক দুর্বলতা আছে, যা করোনা আক্রান্তের পরবর্তী সময়ের স্বাভাবিক অবস্থা। ভালোর দিকে যাচ্ছেন। অল্প করে উন্নতি লাভ করছেন।
এছাড়া দুই একদিনের মধ্যে রক্ত পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।
তিনি আরও বলেন, আউট অফ ডেঞ্জার কি না- নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে তা এখনো বলা যাচ্ছে না কারন পর্যাপ্ত ডাটা এনালাইসিস নেই, তবে অগ্রগতিকে আশাব্যঞ্জক বলা যায়। ৯ জন আক্রান্ত ছিলেন। বাকি ৮ জন সবাই উনার চেয়েও ভালো আছেন।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ রাখছেন তার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডাঃ জোবায়দা রহমান। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ার পর ডা. এফএম সিদ্দিকীরে নেতৃত্বে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের টিম গুলশানের বাসায় তার চিকিৎসা শুরু হয়। ‘ফিরোজা’র বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসন ছাড়াও আরো ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসাও সেখানে চলছে।
উল্লেখ্য, সরকারের নির্বাহী আদেশে জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিলো। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর গত বছর করোনা মহামারি বৃদ্ধি পাওয়ার পর পরিবারের আবেদনে তাকে ৬ মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না।