পাবনায় অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে দিন দিনই কমছে খেলার মাঠ। উন্মুক্ত মাঠে খেলাধুলার সুযোগ না থাকা আর লেখাপড়ার চাপে অনেকটাই ঘরবন্দি শিশু-কিশোররা। ফলে তারা ঝুঁকছে মোবাইল ফোনের গেমস আর ইন্টারনেটের প্রতি। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ।
স্মার্টফোনে বন্দী শিশুদের জীবন! এখন এ চিত্র রাজধানী ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত এলাকাতেও! শিশুদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম যেখানে খেলাধুলা, সেখানে দিনদিনই কমছে খেলার মাঠের সংখ্যা। অন্যতম কারণ যত্রতত্র নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন।
পাবনা সদরের অধিকাংশ স্কুলেও নেই খেলাধুলার ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, যাপিত জীবনে শিশুদের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও অংশগ্রহণ কমেছে। এতে বিনোদনহীন হয়ে পড়ছে শিশুদের শৈশব। বিকল্প হিসেবে বেছে নিচ্ছে টিভি, মোবাইল গেমস, ইন্টারনেট।
এতে শিশুরা হয়ে পড়ছে অসামাজিক, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডা. তন্ময় প্রকাশ বলেন, এসব ডিভাইস মানসিক বিকাশ তৈরি করে না। এগুলো আস্তে আস্তে মানুষের মানসিক বিকাশকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। এতে শিশুরা দিনে দিনে অসামাজিক হয়ে পড়ছে।
এ অবস্থায় নিয়ম না মেনে যেসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মোসলেম উদ্দিন।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাট বা ভবনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে শীগ্রই তাদের নিজিস্ব জমি ক্রয় করে সেখানে তাদের কার্যক্রম চালাতে হবে। তা না হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের পাঠদানের অনুমতি দিবে না।
সচেতনমহলের প্রত্যাশা, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখতে এগিয়ে আসবে প্রতিষ্ঠাগুলো।