শীত প্রধান অঞ্চলের ফুল টিউলিপ এখন ফুটছে দেশেই। টিউলিপ দেখতে গাজীপুরের শ্রীপুরে ভিড় করছেন ফুলপ্রেমীরা।
এর আগেও বিদেশি বিভিন্ন ফুল ফুটিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ফুলচাষি দেলোয়ার হোসেন। সরকারি সহযোগিতা পেলে বিদেশি ফুল রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
টিউলিপ নামটি অনেকের জানা থাকলেও শীত প্রধান দেশের এই ফুল দেখার সৌভাগ্য কম মানুষেরই হয়েছে। কিন্তু টিউলিপ দেখতে এখন আর দেশের বাইরে যেতে হবে না। গাজীপুরের শ্রীপুরে ব্যক্তি উদ্যোগে করা এক বাগানেই শোভা পাচ্ছে হলুদ, লাল ও গোলাপি রঙের টিউলিপ।
দেশের মাটিতে দৃষ্টিনন্দন বিদেশি ফুল দেখতে প্রতিদিনই এই বাগানে ভিড় করছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুষ্পপ্রেমীরা।
বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত বছর দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো টিউলিপ চাষ করে সফলতা পান দেলোয়ার হোসেন। ৫ থেকে ১১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় দৃষ্টিনন্দন এই ফুল ফুটতে সময় লাগে ৩০ থেকে ৩৫ দিন। এই উদ্যোক্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত থেকে আনা অ্যাগ্রো শেড বাদে খরচ হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
ফুলচাষকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি প্রণোদনা স্কিম চালুর আশ্বাস জেলা প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনরের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরডেপুটি গভর্নরর ডেপুটি গভর্নর এ কে এম সাজেদুর রহমান খান বলেন, 'ফুল চাষ বাংলাদেশের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাত বরে মনে করছি। এই ফুলচাষিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রনদণামূলক স্কীমে বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্যই আসবে।'
জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, আগ্রহী যুবক যারা তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যদি পৃষ্ঠপোষকতা দেই এবং এসএমই লোন সংযোগ করে দিতে পারি তাহলে আমরা মনে করি যে এটতে অভূতপূর্ব সাফল্য আশা করতে পারি ভবিষ্যতে।
ফুলচাষকে রপ্তানিমুখি খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি সংশ্লিষ্টদের।