ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সেন্টমার্টিনে হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছে।
আটকে পড়া পর্যটকদের যেন কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের সংশ্লীষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
ভারী বৃষ্টি, বাতাসের তীব্রতা এবং সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এরইমধ্যে সাগরে মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে। সাগরে এখনো পাঁচ শতাধিক মাছ ধরার ট্রলার অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হচ্ছে নানা প্রস্তুতি।
ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে রাত্রি যাপনের জন্য থেকে গেছেন। হঠাৎ বৈরি আবহাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় তারা আটকে গেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত তাদের পরিচ্ছন্নভাবে হয়রানিমুক্ত আতিথেয়তা দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। রাতে এবং সকালে হোটেলগুলোতে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে পর্যটকদের আতঙ্কিত না হতে আশ্বস্ত করেছি।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কঠিন দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাস হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। সংকেত বাড়লে আমরা তাদের এসব স্থানে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করব।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন সমুদ্রপথে চলাচলকারী কেয়ারি সিন্দাবাদ ও কেয়ারি ক্রুজের ইনচার্জ মো. শাহ আলম জানান, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত ওঠার পরই শুক্রবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল স্থগিত করে দেয় প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে সংকেত বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তাই জাহাজ সেন্টমার্টিনের পথে যায়নি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, সাগরে এখন ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধসহ সমুদ্রে সকল ধরণের নৌযানকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে বলা হয়েছে।