কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া গ্রামে মরাকালি নদীর পার এখন এক উৎসব নগরী। হাজারো বাউল, সাধু আর ফকিরের পদচারণায় মুখর লালন আখড়াবাড়ি।
রবিবার (৮ই মার্চ) বিকাল থেকে শুরু হয়েছে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ স্মরণে ‘স্মরণোৎসব’। মাজার প্রাঙ্গণ ছাড়াও সামনের বিশাল প্রান্তরে আসন গেড়েছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা লালন ভক্তরা। লালন একাডেমির আয়োজনে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান চলবে তিনদিন।
পুরো লালন আখড়াবাড়ি এখন বাউল, সাধু আর ফকিরদের দখলে। সাদা পোশাকধারী লালন অনুসারীদের পদচারণঅয় মুখর পুরো এলাকা। একতারা, দোতারা আর বাঁশির সুরে মাতোয়ারা লালন অনুসারী বাউল, সাধু আর ভক্তরা। এ আয়োজন বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র স্মরণোৎসব ঘিরে।
অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাধুসঙ্গ ছাড়াও নানা আচার ও গানে মাতোয়ারা বাউলরা। অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুশি তারা। বাউলদের পাশাপাশি অসংখ্য দর্শনার্থী মিলেছেন তাদের সঙ্গে। দর্শনার্থীরাও পাশে বসে গানে মজে থাকেন।
লালন ফকির জীবিত থাকাকালীন তার শিষ্যদের নিয়ে প্রতি দোল পূর্নিমার রাতে গানের মচ্ছব বসাতেন। সেখানে তার শিষ্যরা হাজির থাকতেন। লালন ফকিরের মৃত্যুর পর তার ভক্তরা এ অনুষ্ঠান চালিয়ে আসছেন।