জলবায়ু পরিবর্তন সুস্পষ্ট ও জরুরি আকার ধারণ করেছে জানিয়ে সম্প্রতি নতুন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি'র গবেষক ড. থমাস নিউসনের নেতৃত্বে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে জলবায়ু নিয়ে বিশ্ব নেতাদের অকার্যকর ভূমিকার কথাও জানানো হয়।
তবে এখনো এ বিপর্যয় ঠেকানো সম্ভব বলেও প্রতিবেদনে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নিউসামের এই প্রতিবেদনে এরই মধ্যে সমর্থন দিয়েছেন ১৫৩টি দেশের প্রায় ১১ হাজার জলবায়ু গবেষক। শিগগিরই প্রতিবেদনে সমর্থন জানিয়ে স্বাক্ষরকারী গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নামের তালিকা অনলাইনে প্রকাশের কথা জানিয়েছেন ড. নিউসাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বাতাসে বাড়ছে বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ, যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। কমছে গাছের সংখ্যা, বাড়ছে জনসংখ্যা।
জলবায়ূ বিষয়ক ৪০ বছরের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে চালানো গবেষণার প্রতিবেদনে পুরোনো এসব সতর্কবার্তাই সামনে এসেছে আবারও। পরিবেশ বিপর্যয়ের ভয়াবহতা বুঝেও তা মোকাবেলায় বিশ্ব নেতারা ব্যর্থ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গবেষণার নেতৃত্ব দেয়া নিউসাম।
প্রতিবেদনটি নিয়ে কাজ করা বিজ্ঞানীরা জানান, গেল অক্টোবর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ অক্টোবর ছিল। তাপমাত্রা বৃদ্ধি দিন দিনই আরো মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলেও হুঁশিয়ারি তাদের।
তবে এই প্রতিবেদনে ইতিবাচক দিক হিসেবে সোলার সিস্টেম ও বাতাসের মাধ্যমে শক্তি নবায়নের পরিমাণ বৃদ্ধিকে তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও তা কার্বন নিঃসরণের তুলনায় অত্যন্ত কম।
তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি খারাপ হলেও হাল ছাড়ার কিছু নেই। জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় তেল ও গ্যাসের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার, বনাঞ্চল রক্ষা, বৈশ্বিক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যের অপচয় কমানোর ওপর জোর দিয়েছেন গবেষকরা।