উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে হল বন্ধ ঘোষণার পর পানি, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বুধবারও নানা কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষাক-শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের হামলার বিচারের পাশাপাশি উপাচার্যকেও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। দিনভর কয়েক দফা হল ছাড়ার আলটিমেটাম দেয় প্রভোস্ট কমিটি। এমনকি হল না ছাড়লে পুলিশি সহায়তা নেয়ার কথা জানানো হয়। পরে, হলে হলে তালা লাগিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি হলগুলোর পানি-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ অবস্থায় আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীরা জানান হলের তালা খুলে দেয়া না হলে তালা ভেঙেই তাদের হলে ঢুকতে হবে। নারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের হলগুলোতে তালা দেয়া থাকায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এদিকে, ভিসির অপসারণের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং সন্ধ্যায় ভিসির বাসভবনের সামনে প্রতিবাদী কনসার্ট করবে আন্দোলনকারীরা।
বুধবার সকাল থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলে যোগ দেন ছাত্রীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষকরাও অংশ নেন। এ সময়, হল ছাড়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। বিকেলে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ছাত্রলীগের হামলার বিচারের পাশাপাশি উপাচার্যকেও বিচারের আওতায় আনান দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সারাদিনে কয়েক দফা হল ছাড়ার আল্টমেটাম দেয় প্রভোস্ট কমিটি। হল না ছাড়লে পুলিশি সহায়তা নেওয়ার কথা জানানো হয়।
এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রায় তিন মাস ধরে আন্দোলন চলছে।